সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: যৌবন এবং ভাগ্য ফেরানোর জন্য কেরলের (Kerala) দুই প্রৌঢ়াকে খুনের ঘটনায় ব্ল্যাক ম্যাজিকের (Black Magic) তত্ত্ব উঠে এসেছিল। এবার গুজরাটে এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে ‘ভূতে ধরেছে’ এই সন্দেহে কিশোরী মেয়েকে খুন করার অভিযোগ উঠল। এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে মোদিরাজ্যের এক গ্রামে।
জানা গিয়েছে, গির সোমনাথ জেলার ধাওয়া গ্রামে ওই নৃশংস ঘটনা ঘটেছে। অভিযুক্তের নাম ভবেশ আকবরি। অভিযোগ, তাঁর ধারণা হয়েছিল তাঁর ১৪ বছরের কন্যাকে ভূতে ধরেছে। এরপরই তিনি ভূত ছাড়ানোর নামে মেয়ের উপরে নির্যাতন চালাতে শুরু করেন। সেই অত্যাচার সইতে না পেরে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে মেয়েটি।
জানা গিয়েছে, মাস ছয়েক আগে সুরাট থেকে এই গ্রামে এসে বসবাস শুরু করেন ভবেশ। ঘটনার দিন তিনি মেয়েকে পুরনো পোশাক পরিয়ে গ্রামের একপ্রান্তে খেতের ধারে নিয়ে যান। সঙ্গে ছিলেন তাঁর ভাই দিলীপ।
[আরও পড়ুন: হাই কোর্টে বড় ধাক্কা, গান্ধীমূর্তির পাদদেশে আর ধরনা দিতে পারবে না ২০১৪’র টেট উত্তীর্ণরা]
মাঠের ধারে এক জায়গায় আগুন লাগিয়ে দিয়ে সেখানে মেয়েটিকে দাঁড়াতে বাধ্য করেন। প্রায় দু’ঘণ্টা সেখানেই দাঁড় করিয়ে রাখা হয় তাকে। এরপর তার পোশাক পুড়িয়ে প্রবল মারধর করা হতে থাকে। পরে ওই কিশোরীর চুলে একটি লাঠি বেঁধে তাকে দু’টি চেয়ারের মাঝখানে দাঁড় করিয়ে দেওয়া হয়। মেয়েটিকে খেতেও দেওয়া হয়নি। এমনকী তৃষ্ণায় ছটফট করলেও একফোঁটা জলও দেওয়া হয়নি। এরপরই সে অচেতন হয়ে সেখানে পড়ে যায়। ঘটনাস্থলেই ওই কিশোরীর মৃত্যু হয় বলে জানা গিয়েছে।
এরপর বেগতিক দেখে কিশোরীর দেহ একটি প্লাস্টিক ও কম্বলে মুড়ে ফেলেন অভিযুক্তরা। এরপর গ্রামের শ্মশানে গিয়ে দেহটি দাহও করে ফেলা হয়। সমস্ত প্রমাণও তাঁরা ধ্বংস করে ফেলেন বলে পুলিশ সূত্র জানিয়েছে। কিন্তু তদন্তে নেমে সন্দেহ হয় পুলিশের। পরে কিশোরীর পরিবারের সদস্যদের আটক করা হয়। প্রতিবেশীদের কাছ থেকে জানা যায়, অভিযুক্ত ভবেশ আলাদাই থাকতেন। কারও সঙ্গে সেভাবে কথা বলতেন না। পরে পুলিশের কাছে স্পষ্ট হয়ে ওঠে বিষয়টি। অভিযোগ আনা হয় কিশোরীর বাবার বিরুদ্ধে।