বাবুল হক, মালদহ: দাম্পত্য কলহের জেরে অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীর গায়ে কড়াই থেকে ফুটন্ত গরম জল ঢেলে দেওয়ার অভিযোগ উঠল স্বামীর বিরুদ্ধে। এই ঘটনায় তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে মালদহের হরিশচন্দ্রপুর থানার মহেন্দ্রপুর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার ইসলামপুর গ্রামে। অভিযুক্ত স্বামীকে ধরে পুলিশের হেফাজতে তুলে দিয়েছেন গ্রামবাসীরা। গুরুতর আহত অবস্থায় ওই গৃহবধূকে উদ্ধার করে স্থানীয়রা হরিশচন্দ্রপুর গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে ভরতি করেন। বৃহস্পতিবার রাতে এই চাঞ্চল্যকর ঘটনার জেরে হরিশচন্দ্রপুরের ইসলামপুর গ্রামে উত্তেজনা ছড়ায়। পুলিশ পৌঁছে অভিযুক্তকে জনরোষের কবল থেকে উদ্ধার করে। পরে তাকে গ্রেপ্তার করা হয় বলে পুলিশ জানিয়েছে।
টুম্পা সাহা নামে ওই গৃহবধূর আর্ত চিৎকার শুনে অভিযুক্তর বাড়িতে ছুটে আসে বাসিন্দাদের একাংশ। ঘটনা দেখে অবাক হয়ে যান সকলেই। চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে গোটা এলাকায়। গুরুতর আহত অবস্থায় স্থানীয়রাই তড়িঘড়ি ওই গৃহবধূকে হরিশচন্দ্রপুর গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যান। টুম্পাদেবীর শরীরের একটা বড় অংশ পুড়ে গিয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রত্যক্ষদর্শীরা। ঘটনার পর এলাকা ছেড়ে পালানোর চেষ্টা করে অভিযুক্ত স্বামী দুলাল সাহা। তবে শেষরক্ষা হয়নি। এলাকার বাসিন্দারা তাড়া করে তাকে ধরে ফেলে। উত্তম-মধ্যমের পর তাকে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়। পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে।
[আরও পড়ুন: থাকছেন এসি ঘরে, খাচ্ছেন বার্গার! ইডি হেফাজতেও ‘জামাই আদর’ অনুব্রতকে]
বছরচারেক আগে মহেন্দ্রপুর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার ইসলামপুর গ্রামের যুবক দুলাল সাহার সঙ্গে বিয়ে হয় বিহারের আমদাবাদের বাসিন্দা টুম্পার। তাঁদের দুই শিশুপুত্র রয়েছে। বিয়ের পর থেকেই টুম্পার উপর কারণে অকারণে নির্যাতন চালাত তাঁর শাশুড়ি ও স্বামী বলে অভিযোগ। ইদানীং নির্যাতনের মাত্রা বেড়ে গিয়েছিল। বৃহস্পতিবার রাতে স্বামী ও স্ত্রীর মধ্যে বচসা চলছিল। অভিযোগ, সেই সময় হঠাৎ ফুটন্ত কড়াইয়ের জল পিছন থেকে টুম্পার শরীরে ঢেলে দেয় তাঁর স্বামী দুলাল সাহা। চিৎকার শুনে পড়শিরা সেখানে ছুটে যান। চাঁচলের মহকুমা পুলিশ আধিকারিক (এসডিপিও) শুভেন্দু মণ্ডল জানান, গৃহবধূর উপর নির্মমভাবে অত্যাচার চালানো হয়। অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।