নন্দন দত্ত, বীরভূম: শোলে সিনেমার সেই দৃশ্য! প্রেমিকা বাসন্তীকে বিয়েতে রাজি করাতে জলের ট্যাঙ্কের মাথায় চড়ে বসে বীরু। হুঁশিয়ারি দিতে থাকে বিয়ে না করলে ট্যাঙ্ক থেকে ঝাঁপিয়ে প্রাণ দেবে। শেষে তাঁদের মধুরেণ সমাপয়েৎও হয়। সে তো ছিল সিনেমা।
এবার বাস্তবে একই রকম ঘটনার সাক্ষী থাকলেন বীরভূমের (Birbhum) সদাইপুর থানার এলাকার মুথাবেড়িয়া গ্রামের বাসিন্দারা। প্রেমিকার সঙ্গে বিয়ে না হওয়ায় গ্রামের নির্মীয়মাণ জলের ট্যাঙ্কে উঠে পড়েন বাস্তবের বীরু। বিয়ে না দিলে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যা করবেন বলে হুঁশিয়ারি দিতে থাকেন তিনি। শেষে সিনেমার মত তাঁদের মিলন না হলেও, নামানো গিয়েছে যুবককে।
[আরও পড়ুন: নির্মীয়মাণ বাড়িতে পড়ে বৃদ্ধের দেহ, গুলি করে খুনের অভিযোগ ছেলের]
বীরভূমের সদাইদহ থানা এলাকার বাসিন্দা বীরু (নাম পরিবর্তীত)। যুবকের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক তৈরি হয় ফারাক্কার বাসন্তীর (নাম পরিবর্তীত)। বক্রেশ্বর তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের কর্মী যুবতীর বাবা। সেই সুবাদে গ্রামে আসা যাওয়া ছিল বাসন্তীর। সেখানেই তাঁদের পরিচয় ও ক্রমে প্রেম। কিছুদিন আগে তাঁরা পালিয়েও যান। তবে যুবকের বাড়ির সদস্যরা জানাচ্ছেন, যুবতীর বাড়ির লোক আশ্বাস দেন, ফিরে আসলে প্রেমির-প্রেমিকার বিয়ে দেবেন। সেই কথা মতো ফিরে আসেন যুগল।
তার পরেই বিপত্তি! যুবকের অভিযোগ, প্রেমিকাকে বাড়িতে নিয়ে গিয়ে তাঁর কাছে পাঠায়নি পরিবার। এমনকী যোগাযোগও করতে দেওয়া হচ্ছে না। তার জেরেই বুধবার রাতে গ্রামের নির্মীয়মাণ জলের ট্যাঙ্কে উঠে পড়েন যুবক। ফোন করে নিজের পরিবার ও প্রেমিকার পরিবারকে সেই কথা জানান। প্রেমিকাকে তাঁর কাছে ফিরিয়ে না দিলে আত্মহত্যা করবেন বলে হুঁশিয়ারি দেন।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে বিশাল পুলিশ বাহিনী ও দমকল। নিচে নেটও বিছিয়ে রাখা হয়। পাশাপাশি, যুবকে নামিয়ে নিয়ে আসার চেষ্টা চলতে থাকে। শেষ পর্যন্ত ফোনে যুবকের জামাইবাবুর কথা হয়। বৃহস্পতিবার, ভোরে সেই ট্যাঙ্ক থেকে নেমে আসেন যুবক। ঘটনায় ব্যাপক শোরগোল পড়ে এলাকায়।