shono
Advertisement

এ কেমন পেশা! শুধু লাইনে দাঁড়িয়েই দিনে ১৬ হাজার টাকা আয় যুবকের

ধনীদের হয়ে লাইনে দাঁড়ান ফ্রেডি।
Posted: 07:23 PM Jan 16, 2022Updated: 08:35 PM Jan 16, 2022

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ভারতীয়রা বড় হয় বাজারে-দোকানে লাইন দিতে দিতে। রেশন দোকান থেকে ইলেক্ট্রিক বিল, সিনেমা-থিয়েটার-খেলার মাঠের টিকিটের লাইন থেকে রবিবার পাঠার মাংসের দোকানের লাইন। কোভিডের (Covid) যুগে তো গোটা বিশ্বেই শপিংমলে লম্বা লাইন পড়ছে। যেহেতু সংক্রমণ রুখতে একসঙ্গে একশ শতাংশ ক্রেতা ঢোকায় মানা। তো এই এলেবেলে, মানে লাইন দাঁড়ানো (Professional Queuer) জিনিসটা কারো পেশা হতে পারে? বিশ্বাস করুন আর না-ই করুন, ইংল্যান্ডের নাগরিক যুবক ফ্রেডি বেকিটের (Freddie Beckitt) পেশে কিন্তু সেটাই। এই পেশাতেই দিনে গড়ে ১৬ হাজার টাকা আয় করেন তিনি।

Advertisement

অনলাইন যুগ আসার পর লাইনে দাঁড়ানোর ব্যাপারটা খানিক কমেছে। তবু, সকলে অন্তর্জালের ‘ঝুঁকি’ নেন না। হাতের কাজ হাতে হাতে মেটানোই পছন্দ অনেকর। সমস্যা হল একদল এতই ব্যস্ত যে অনলাইনের জটিলতা পছন্দ না হলেও লাইনে দাঁড়ানোর মতো সময়ও নেই তাঁদের কাছে। এরাই বছর একত্রিশের ফ্রেডির কাস্টোমার। যাঁদের বয়স হয়েছে, সন্তান বা আত্মীয়স্বজন নেই বা তাঁদের সঙ্গে যোগ নেই, তবে অর্থবান। তাঁদের হয়েই মিউজিয়ামের টিকিট কাউন্টারে, থিয়েটার কী সিনেমা হলে, ট্রেনের-বিমানের টিকিট কাটার লাইনে দাঁড়িয়ে পড়েন ফ্রেডি।

[আরও পড়ুন: বিরিয়ানির হাঁড়ি খুঁজতে গিয়ে বেপাত্তা যুবক, অপহরণের মামলা পেয়ে ব্যতিব্যস্ত পুলিশ!]

কাস্টোমাররা তাঁদের সময় মতো এসে ফ্রেডির কাছে থেকে কাজ বুঝে নেন, ফ্রেডিও পয়সা বুঝে নেন তাঁদের থেকে। তবে যুবকের দাবি, আরও একদল আছে, যাঁরা তাঁর ভাল কাস্টোমার। তারা কার?

ফ্রেডি জানিয়েছেন, তাদের বয়স বেশি নয়, তেমন ব্যস্ততাও নেই, তবে তাঁরা সোনার চামচ মুখে দিয়ে জন্মানো ধনী ঘরের ছেলে। তাঁদের অনুরোধেও মাঝেমাঝে লাইনে দাঁড়াতে হয় তাঁকে। এভাবেই ঘণ্টা হিসেবে লাইনে দাঁড়িয়ে একাধিক কাস্টোমার থেকে তাঁর একদিনে গড়ে আয় ১৬ হাজার টাকা।

[আরও পড়ুন: খুন্তি নয়, গরম কড়াই থেকে লুচি তোলা হচ্ছে খালি হাতে! বিশেষ রীতি তেহট্টের এই গ্রামীণ পুজোয়]

ফ্রেডি বেকিট বলেন, “আমি দিনে আট ঘণ্টা কাজ করি। প্রবীণ ধনী ব্যক্তিরা আমার কাস্টোমার। কোথাও হয়তো চিত্র প্রদর্শনী চলছে, আমি লাইনে দাঁড়িয়ে তাঁদের জন্য টিকিট কেটে রাখি। তাঁরা প্রদর্শনী শুরু হওয়ার সময় এসে আমার থেকে টিকিট সংগ্রহ করে নেন। বিনিময়ে আমার প্রাপ্য মিটিয়ে দেন। এমন নানারকম লাইনে দাঁড়ানোর কাজ করে থাকি।”

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement
toolbarHome ই পেপার toolbarup ছাঁদনাতলা toolbarvideo শোনো toolbarshorts রোববার