সুকুমার সরকার, ঢাকা: দীর্ঘদিন ধরে এক কিশোরীর সঙ্গে দাদার প্রেম। হাজার চেষ্টা সত্ত্বেও কিশোরীর পরিবার বিয়ে দিতে নারাজ। কিন্তু প্রেমিকাকে স্ত্রী হিসাবে পাওয়ার স্বপ্নে বিভোর ওই যুবক। ভেবেছিলেন পালিয়ে গিয়েই বিয়ে করবেন দু’জনে। প্রেমিকাকে নির্দিষ্ট ঠিকানায় নিয়ে আসার জন্য ভাইয়ের সাহায্য নেন যুবক। তবে শেষমেশ ওই যুবক নয়, দাদার প্রেমিকাকে বিয়ে করে বসল সে। প্রেমিকার সঙ্গে পালিয়ে বিয়ের উদাহরণ রয়েছে বহু। তবে দাদার প্রেমিকাকে ভাইয়ের বিয়ে করার ঘটনা সত্যিই বিশেষ শোনা যায় না। তাই এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে বাংলাদেশের চট্টগ্রামের বায়েজিদ থানার কানন আবাসিক এলাকার ঘটনায় রীতিমতো শোরগোল।
র্যাব-৭-এর সিনিয়র সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) মহম্মদ নূরুল আবছার বলেন, “ফয়সাল ও ফরহাদ দুই ভাই। নবম শ্রেণির ওই ছাত্রীর সঙ্গে ফয়সালের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। কিশোরী গত ১২ ফেব্রুয়ারি করোনার টিকা নিতে যাচ্ছে বলে বাড়ি থেকে বেরোয়। ফয়সালের কথা মতো তাঁর ভাই ফরহাদের সঙ্গে সাগরপথে চট্টগ্রাম চলে আসার কথা ছিল কিশোরীর। চট্টগ্রাম আসার পর তাকে বিয়ে করবে বলেই পরিকল্পনা ছিল ফয়সালের। এদিকে কিশোরীর খোঁজ না মেলায় সন্দ্বীপ থানায় অপহরণের অভিযোগ করেন তার পরিবারের লোকজন। কিশোরীর পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে সন্দ্বীপ থানাক পুলিশ ফয়সালকে আটক করে। এরপর ফয়সাল ও তার পরিবারের সদস্যরা ফরহাদের কাছে অনুরোধ করে যেন কিশোরীকে ফিরিয়ে আনা হয়। কিন্তু ফরহাদ কিশোরীকে নিয়ে যায়নি।”
[আরও পড়ুন: সাধন পাণ্ডের মৃত্যুতে অর্ধদিবস ছুটি ঘোষণা রাজ্যের]
ওই ঘটনায় গত ১৩ ফেব্রুয়ারি পরিবারের সদস্যরা সন্দ্বীপ থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্তে নামে র্যাব। মামলার পর থেকে কিশোরীকে উদ্ধার ও অপহরণকারীকে আটকের চেষ্টা শুরু হয়। অবশেষে বায়েজিদ এলাকা থেকে ফরহাদকে আটক করে পুলিশ। উদ্ধার হয়েছে ওই কিশোরীও।