ক্ষীরোদ ভট্টাচার্য: স্কুল অফ ট্রপিক্যালে ব্রুসোলোসিসে এক ব্যক্তির মৃত্যুর অভিযোগ। মৃতের নাম শরবিন্দু ঘোষ (৫৩)। পূর্ব বর্ধমানের ভাতারের বামুনিয়া গ্রামের বাসিন্দা মৃত ব্যক্তির শনিবার ট্রপিক্যালে মৃত্যু হয়। তবে মৃতের ডেথ সার্টিফিকেটে ব্রুসোলোসিসের উল্লেখ্য নেই। লেখা হয়েছে রিউম্যাটিক আর্থারাইটিস।
মৃত শরবিন্দু ঘোষের পেশা গবাদি পশু পালন। তাঁর ছেলে সুজয় ঘোষের দাবি, দুর্গাপুজোর একাদশীর দিন আচমকা পেট খারাপ শুরু হয়। ডায়রিয়া ভেবে স্থানীয় হাসপাতালে ভরতি করা হয় ওই ব্যক্তিকে। পাঁচদিন পর ডায়রিয়া কমলেও হাঁটুর নিচ থেকে পায়ের পাতা মারাত্মক জ্বলুনি ও ব্যাথা শুরু হয়। বর্ধমান থেকে কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভরতি করা হয়। পরীক্ষায় ব্রুসোলোসিস ধরা পড়ে। কিন্তু ব্যাপক খরছের জন্য ওই বেসরকারি হাসপাতাল থেকে ফের বর্ধমানের একটি নার্সিংহোমে ভরতি করা হয়। তবে ততক্ষণে শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়েছে। ভুল বকতে শুরু করেছেন শরবিন্দু।
[আরও পড়ুন: গুয়াহাটি-কলকাতা স্পেশ্যাল ট্রেনে আগুন, কাটোয়া স্টেশনে আতঙ্কে হুড়োহুড়ি যাত্রীদের]
শেষ তাঁকে ট্রপিক্যালে ভরতি করা হয়। সুজয়ের দাবি, বাড়িতে চারটি বড় গরু এবং তিনটি বাছুর। একটি বাছুরের পা ফুলে গিয়েছিল। তাকে ভ্যাকসিন দেওয়া হয়। সেই সময় সম্ভবত রোগ সংক্রমিত হয়। যদিও বাছুর সুস্থ রয়েছে। সবকটি গবাদি পশুকে ব্রুসোলিসেসের ভ্যাকসিন দেওয়া হয়েছিল। গত ৩০ নভেম্বর শরবিন্দুকে ট্রপিক্যালে ভরতি করা হয়। শুরু থেকে জেনারেল ওয়ার্ডে ছিলেন। তিনদিন আগে তাঁকে ভেন্টিলেশনে পাঠানো হয়। ট্রপিক্যালের এক শীর্ষ কর্তার কথায়, রোগীর ব্রুসোলিসিস পজিটিভ কি না, তা যাচাই করতে তিনবার পরীক্ষা হয়। এবং প্রতিবারই নেগেটিভ রির্পোট আসে। যদিও মৃতের ছেলের দাবি, ‘‘বাবার ব্রুসোলোসিসেই মৃত্যু হয়েছে।’’