সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: এই দুনিয়ায় ভাই সবই হয়, সব সত্যি। স্বর্ণযুগের বাংলা গানের এমন দাবি যে অমূলক নয়, আবার সেই প্রমাণ মিলল। সারা পৃথিবীতে, বিশেষ করে আমেরিকা তথা পাশ্চাত্যে এমন অনেকেই রয়েছেন, যাঁরা নানা রকম কন্সপিরেসি থিয়োরিতে বিশ্বাস করেন। কখনও তাঁরা দাবি করেন, আকাশে দেখতে পেয়েছেন অজানা উড়ন্ত চাকি। কখনও বা বলেন, পৃথিবী নাকি গোল নয়, চ্যাপ্টা। তাঁদের দাবি ঘিরে যতই বিদ্রুপ করুক বাকিরা, তাঁদের বিশেষ হেলদোল দেখা যায় না। এবার অস্ট্রেলিয়ায় এক ব্যক্তি দাবি করে বসলেন, তিনি দেখেছেন এমন এক প্রাণীকে যার অর্ধেকটা কুকুরের, অর্ধেকটা মানুষের।
সেই কবে এইচ জি ওয়েলস লিখেছিলেন ‘দ্য আইল্যান্ড অফ ডক্টর মোরো’। সেখানে সমুদ্রের কোলে এক দ্বীপে দেখা মিলেছিল এক পাগলাটে বিজ্ঞানীর। যিনি পশুর সঙ্গে মানুষের দেহের হাইব্রিড তৈরি করতেন! কিন্তু সে যে নিছক গল্পকথা। অস্ট্রেলিয়ার জনৈক জন নামের ব্যক্তির দাবি, তিনি চর্মচক্ষে দেখতে পেয়েছেন এমনই এক বিভীষিকাকে।
[আরও পড়ুন: হিন্দু বিয়েতে পাশ্চাত্যের ছোঁয়া, বর-কনেকে চুম্বনের নির্দেশ পুরোহিতের]
ব্যাপারটা কী? একটি হ্রদে মাছ ধরতে গিয়েছিলেন জন। কায়াক তথা ছোট্ট বোটে বসে মাছ ধরার সময়ই আচমকা পাশের জঙ্গল থেকে অদ্ভুত আওয়াজ শুনতে পান তিনি। প্রথমে কিছু বুঝতে না পারলেও এরপর তাঁর নজরে আসে গাছের পিছনে দাঁড়িয়ে রয়েছে এক অদ্ভুত প্রাণী। অর্ধেক কুকুর। অর্ধেক মানুষ। ডগম্যান!
জনের এমন দাবি ঘিরে শোরগোল পড়ে গিয়েছে। তাঁর আরও দাবি, তিনি ছবি তুলতে পারলেও কার্যত কিংকর্তব্যবিমূঢ় হয়ে পড়েছিলেন। দ্রুত এলাকা ছেড়ে পালিয়ে গিয়েছিলেন। স্বাভাবিক ভাবেই ডগম্যানের কথা শুনে অনেকেই হাসাহাসি করছেন। জনের বক্তব্য, কেউ বিশ্বাস করবে না বলেই প্রথমে ভেবেছিলেন ছবিটি প্রকাশ্যে আনবেন না। অবশেষে প্যারানর্মাল অ্যান্ড ইউএফও পডকাস্ট ‘বিলিভ’-এর কাছে তিনি ডগম্যানের কথা বলেন। পরে প্রকাশ করেন প্রাণীটির ছবিও।