শাহজাদ হোসেন, জঙ্গিপুর: পাঁচ শতক জমি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই চলছিল বিবাদ। আর সেই জমি বিবাদের জেরে উত্তপ্ত হয়ে উঠল মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) সামসেরগঞ্জ থানার ১৩ নম্বর ওয়ার্ড ফিল্ড পাড়া। চলল গুলি, বোমাবাজি। গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যু হল এক ব্যক্তির। জখম আরও দু’জন। মহম্মদ সেলিম আনসারি ও মোবাসসার শেখ নামে জখম দু’জন জঙ্গিপুর মহকুমা হাসপাতালে ভরতি। ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে বিশাল পুলিশবাহিনী।
মুর্শিদাবাদের সামসেরগঞ্জ থানার ১৩ নম্বর ওয়ার্ড ফিল্ড পাড়ায় পাঁচ শতক পৈতৃক জমি ছিল ইমরান হোসেন নামে বছর চুয়ান্নর ওই ব্যক্তির। অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরে জমিমাফিয়া জাকির শেখের সঙ্গে হাত মিলিয়ে ওই জমি আত্মসাতের চেষ্টা করে মুর্শিদাবাদ জেলা পরিষদের জনস্বাস্থ্য ও পরিবেশ দপ্তরের কর্মাধ্যক্ষ আনারুল হক বিপ্লবের ভাই আবদুল বারিক। জোর করে তারা ওই জমি দখলের চেষ্টাও করে। নিজেদের জমি পুনরুদ্ধারে বহরমপুর আদালতেরও দ্বারস্থ হয়েছিলেন ইমরান। মামলা মোকদ্দমায় তিনি জিতে যান। স্থির হয় তিনিই জমির মালিক। তবে তাতেই অশান্তি আরও বড়সড় আকার নেয়। বুধবার সকালে জাকির শেখ, আনারুল হক আচমকাই ইমরান হোসেনের বাড়িতে আসে। ওই জমিতে জোর করে পাঁচিল দেওয়ার চেষ্টা করে। তাতে বাধা দিতে যান ইমরান হোসেন। জমিজমা সংক্রান্ত বিবাদ চলাকালীন প্রথমে ধারাল অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে তারা। পরে এলাকায় সাতটি বোমা ফাটানো হয়। চলে পাঁচ রাউন্ড গুলিও। অভিযোগ, মুর্শিদাবাদ জেলা পরিষদের জনস্বাস্থ্য ও পরিবেশ দপ্তরের কর্মাধ্যক্ষ আনারুল হক বিপ্লবের ভাই আবদুল বারিকই গুলি চালিয়েছে।
[আরও পড়ুন: ফের মধ্যাহ্নভোজের জনসংযোগ কর্মসূচি বিজেপির, রাজ্যে মতুয়া বাড়িতেই খাওয়াদাওয়া করবেন শাহ]
গুলিবিদ্ধ হন ইমরান হোসেন-সহ তিনজন। রক্তাক্ত অবস্থায় স্থানীয়রাই তাঁদের উদ্ধার করে জঙ্গিপুর মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যায়। তবে তাঁকে মৃত বলেই জানান চিকিৎসকরা। এই ঘটনায় মহম্মদ সেলিম আনসারি ও মোবাসসার শেখ নামে আরও দু’জন জখম হন। তাঁরা বর্তমানে ওই হাসপাতালে ভরতি। প্রত্যেকের অবস্থাই বেশ আশঙ্কাজনক।
পুলিশ আপাতত এলাকায় রয়েছে। তবে ঘটনায় অভিযুক্ত কাউকেই এখনও গ্রেপ্তার করা যায়নি।