বাবুল হক, মালদহ: বেঙ্গালুরুতে পড়তে যাওয়ার ঠিক আট ঘন্টা আগে নিজের শোওয়ার ঘর থেকে উদ্ধার চিকিৎসক পড়ুয়ার ঝুলন্ত দেহ। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশর অনুমান, আত্মঘাতী হয়েছেন তিনি। মেধাবী ছাত্রের মৃত্যুর কারণ নিয়ে তৈরি হয়েছে ধোঁয়াশা। হরিশ্চন্দ্রপুর থানার পুলিশ ঘটনার তদন্তে নেমেছে।
নিহত মেডিক্যাল ছাত্র (Medical Student) মুজাফ্ফর হোসেন মালদহের হরিশ্চন্দ্রপুর-২ নম্বর ব্লকের সুলতান নগর গ্রাম পঞ্চায়েতের পীরগঞ্জ গ্রামের বাসিন্দা। শনিবার সকালে পড়ুয়ার নিজের শোওয়ার ঘর থেকে দেহ উদ্ধার হয়েছে। তবে কি কারণে আত্মহত্যা করেছে তা তদন্ত শুরু করেছে হরিশ্চন্দ্রপুর থানার পুলিশ।
[আরও পড়ুন: ব্যাগে লক্ষ লক্ষ টাকা! শিয়ালদহের ২ টিকিট পরীক্ষককে চাকরি থেকে বরখাস্ত করল রেল]
নিহত ছাত্রের বাবা গোলাম জাব্বার জানান, অত্যন্ত মেধাবী ছিলেন মুজাফ্ফর। বেঙ্গালুরুতে ফার্মেসি নিয়ে পড়তে যাওয়ার কথা ছিল তাঁর। শুক্রবার চারটের সময় হাটেবাজারে ট্রেন ধরে কলকাতা হয়ে বিমানে বেঙ্গালুরুতে যাওয়ার কথাও ছিল তাঁর। ব্যাগপত্র গোছানোও হয়ে গিয়েছিল। শনিবার সকালে ডাক্তারি পড়ুয়া ঘুম থেকে না ওঠায় সন্দেহ হয় পরিজনদের। ডাকাডাকি করা হয় তাঁকে। অনেকক্ষণ ধরে ডাকাডাকির পরও দরজা খোলেননি তিনি। বাধ্য হয়ে দরজা ভাঙা হয়। পরিজনেরা ঘরে ঢুকে অবাক হয়ে যান। তাঁরা দেখেন গলায় বিছানার চাদর জড়িয়ে ঝুলছেন ওই যুবক।
মেডিক্যাল ছাত্রের অস্বাভাবিক মৃত্যুকে ঘিরে রহস্যের দানা বেঁধেছে। মানসিক অবসাদে মৃত্যু নাকি এর পিছনে অন্য কোনও কারণ রয়েছে তা এখনও জানা যায়নি। মেডিক্যাল ছাত্রের ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে না আসা পর্যন্ত কীভাবে মৃত্যু হয়েছে, সে বিষয়ে বলতে নারাজ পুলিশ। মেডিক্যাল ছাত্র্রের পরিজনদের দাবি, পরিজনদের সঙ্গে কোনও অশান্তি হয় তাঁর। বেশ হাসিখুশি স্বভাবেরই ছিলেন মেডিক্যাল পড়ুয়া। বেঙ্গালুরুতে পড়তে যাওয়া নিয়ে বেশ উৎসাহীও ছিলেন তিনি। তারপরেও কেন আত্মঘাতী হলেন ওই যুবক, তা পরিবারের কেউই বুঝতে পারছেন না।