টিটুন মল্লিক, বাঁকুড়া: গুলির আওয়াজে সাতসকালে কেঁপে উঠল বিষ্ণুপুর (Bishnupur)। আত্মঘাতী বিষ্ণুপুরের মল্লরাজ বংশের অন্যতম বর্ষীয়ান সদস্য সলিল সিংহ ঠাকুর। শনিবার সকাল সাড়ে সাতটা নাগাদ নিজের বাসভবনের বসার ঘরে বন্দুক থেকে গুলি চালিয়ে আত্মহত্যা করেন তিনি। পরিবার সূত্রে খবর, গুলি গলায় লেগে মাথা ভেদ করে বেরিয়ে যায়। সঙ্গে সঙ্গেই মৃত্যু হয় সাবেক রাজঘরানার অন্যতম প্রবীণ সদস্যের। মানসিক অবসাদে আত্মহত্যা বলেই প্রাথমিকভাবে অনুমান করা হচ্ছে।
সেই রাজত্ব নেই। আর সেই জাঁকজমকও নেই। রাজবাড়ি থেকে এখন আর শোনা যায় না গুলিগোলার আওয়াজও। যেন বিস্মৃতির অতল অন্ধকারে তলিয়ে গিয়েছে সব কিছু। শনিবার সকলের প্রথমে আচমকা গুলির আওয়াজ শুনে অবাক হয়ে যান বাড়ির পরিচারিকা। তিনি দৌড়ে ঘরে ঢোকেন। দেখেন সলিলবাবুর রক্তাক্ত দেহ মেঝেতে পড়ে রয়েছে। রক্ত গড়িয়ে যাচ্ছে। তিনিই চিৎকার করে সুনীলবাবুর মর্মান্তিক মৃত্যুর খবর দেন পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের। এদিকে, গুলির আওয়াজ পেয়ে রাজবাড়ির সামনে ততক্ষণে জড়ো হয়ে যান স্থানীয়রাও। সলিলবাবুর নিথর দেহ দেখে হতবাক বিষ্ণুপুরের বাসিন্দারা। হইচই পড়ে যায় জেলাজুড়ে।
[আরও পড়ুন: ‘ওঁর উপর চাপ ছিল’, বিপ্লব মিত্রর তৃণমূলে প্রত্যাবর্তনের কারণ ব্যাখ্যা দিলীপ ঘোষের]
এরপরই খবর দেওয়া হয় বিষ্ণুপুর থানায়। খবর পাওয়ামাত্রই পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়। পাশাপাশি একটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা দায়ের করা হয়। তবে পুলিশ জানিয়েছে, লাইসেন্সপ্রাপ্ত পারিবারিক বন্দুক থেকেই গুলি চালিয়ে আত্মঘাতী হন এই সত্তরোর্ধ্ব রাজপরিবারের সদস্য। প্রতিবেশীদের দাবি, নানা শারীরিক অসুস্থতা ছিল তাঁর। সে কারণে মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন। তাই আত্মহননের সিদ্ধান্ত নেন সলিলবাবু। এদিকে, এই ঘটনার জেরে মল্লভূম বিষ্ণুপুরে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। ঠিক কী কারণে তিনি আত্মঘাতী হলেন, তা খতিয়ে দেখছে বিষ্ণুপুর থানার পুলিশ। ওই রাজপরিবারের অন্যান্য সদস্যদের সঙ্গেও কথা বলছেন তদন্তকারীরা।
[আরও পড়ুন: ফের ভারতসেরা বাংলা, গণ অভিযোগ ব্যবস্থায় স্কচ ফাউন্ডেশনের সর্বোচ্চ পুরস্কার মমতা প্রশাসনের]
The post বিষ্ণুপুরের মল্ল রাজবাড়িতে চলল গুলি, উদ্ধার রাজপরিবারের সদস্যের রক্তাক্ত দেহ appeared first on Sangbad Pratidin.