সুনীপা চক্রবর্তী, ঝাড়গ্রাম: সন্তান খুনের (Murder) এক মাস পর গ্রেপ্তার মা। স্বামীর মৃত্যুর পর সন্তানকে নিয়ে জীবনযাপন কার্যত দায় হয়ে দাঁড়িয়েছিল ওই মহিলার কাছে। সেই কারণেই খুন করা বলে জানিয়েছে পুলিশ। বুধবারই ধৃতকে তোলা হয়েছে আদালতে।
ঘটনার সূত্রপাত ১৪ নভেম্বর। ওইদিন ঝাড়গ্রামের (Jhargram) জামাবনি থানার ব্লক সদর গিধনি ঢোকার আগে খাটগেড়িয়া গ্রামের কাছে জঙ্গলে কার্যত পচাগলা অবস্থায় উদ্ধার হয় এক শিশুর দেহ। খবর পেয়ে পুলিশ দেহটি উদ্ধার করে পাঠায় ময়নাতদন্তে। শুরু হয় তদন্ত। কিন্তু দেহটি কার তা বুঝতে বেশ কিছুটা সময় লেগে যায় তদন্তকারীদের। অবশেষে জানা ঝাড়গ্রামের বিরারডির বাসিন্দা ওই খুদে। তার বাবা লক্ষ্মণ হেমব্রম ও মা লক্ষ্মী হেমব্রম।
[আরও পড়ুন: মুখে ক্ষতচিহ্ন, দেহের আশপাশে চাপ চাপ রক্ত, ডুয়ার্সে চিতাবাঘের দেহ উদ্ধারে চাঞ্চল্য]
তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে, চলতি বছরের ফেব্রুয়ারী মাসে মৃত্যু হয়েছে ওই খুদের বাবা লক্ষ্মণের। তারপর থেকে অভিযুক্ত লক্ষ্মী ও তার ছেলেকে কে রাখবে, তা নিয়ে বাপের বাড়ি ও শ্বশুরবাড়ির মধ্যে টানাপোড়েন শুরু হয়। কী করবে বুঝে উঠতে পারছিলেন না মহিলা। এরপরই সন্তানকে খুনের সিদ্ধান্ত নেয় সে। চেষ্টা করেছিল আত্মহনণেরও।
কীভাবে সন্তানকে হত্যা করে লক্ষ্মী? জানা গিয়েছে, সাইকেলে করে ছেলেকে গিধনির জঙ্গলে নিয়ে গিয়েছিল সে। সেখানে তাকে বিষ খাওয়ানো হয়। এরপর সন্তানের মৃত্যু পর্যন্ত অপেক্ষা করে সে। পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, একটি মোবাইলের সূত্র ধরে অভিযুক্তকে শনাক্ত করেছে তাঁরা। গ্রেপ্তার করা হয়েছে লক্ষ্মীকে। বুধবার তাকে তোলা হয়েছে আদালতে।