দেবব্রত মণ্ডল, বারুইপুর: দিনভর মোবাইলে ব্যস্ত থাকত ছেলে। যা না পসন্দ ছিল বাবা-মায়ের। স্বাভাবিকভাবেই বকাবকি করেছিলেন। যার পরিণতি হল মর্মান্তিক। অভিমানে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মঘাতী অষ্টম শ্রেণির ছাত্র।
জানা গিয়েছে, মৃত ছাত্রের নাম শানু দাস। দক্ষিণ ২৪ পরগনার ক্যানিংয়ের কুমার শা এলাকার বাসিন্দা সে। অষ্টম শ্রেণিতে পড়ত। দিনভর মোবাইলে ব্যস্ত থাকত শানু। যা নিয়ে বাড়িত অশান্তি লেগেই থাকত। বৃহস্পতিবার রাতে মোবাইলে ব্যস্ত থাকা নিয়ে বাবা সুজয় দাস বকাবকি করেন শানুকে। তারপর অন্যান্যদিনের মতোই খেয়ে দেয়ে ঘুমিয়ে পড়েন সকলে।
[আরও পড়ুন: রেফার নয়, ঝুঁকি নিয়েই জটিল অস্ত্রোপচার, রোগীকে সুস্থ করলেন বালুরঘাট হাসপাতালের ডাক্তার]
শুক্রবার সকালে ঘর থেকে উদ্ধার হয় শানুর ঝুলন্ত দেহ। কান্নায় ভেঙে পরে পরিবার। ইতিমধ্যেই দেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠিয়েছে পুলিশ। মৃতের বাবা জানিয়েছেন, দিনের অধিকাংশ সময় মোবাইল নিয়ে ব্যস্ত থাকত শানু। তা নিয়ে অশান্তি লেগেই থাকত। বকাবকিও করা হত। কিন্তু তার ফল এরকম হবে তা ভাবতেও পারেননি। পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, দেহটি ইতিমধ্যেই উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে। রিপোর্ট এলেই স্পষ্ট হবে মৃত্যুর কারণ। তবে প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে, আত্মঘাতী হয়েছে ওই কিশোর।
উল্লেখ্য, বর্তমান প্রজন্মের মধ্যে মোবাইল নির্ভরতা যে বেড়েছে তা বলার অপেক্ষা রাখে না। ঘুম ভাঙা থেকে ঘুমনো পর্যন্ত ফোনেই ব্যস্ত থাকে অধিকাংশ। যার জেরে দুর্ঘটনাও ঘটে। কিন্ত তা সত্ত্বেও বদলাচ্ছে না পরিস্থিতি।