অর্ণব দাস, বারাকপুর: ফের গণধর্ষণের (Gang Rape) ঘটনা রাজ্যে। বুধবার রাতে দেগঙ্গায় এক নাবালিকাকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠল ৩ যুবকের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি জানাজানি হতেই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে পরিস্থিতি। রাতেই পুলিশের দ্বারস্থ হন নির্যাতিতার পরিবারের সদস্যরা। গ্রেপ্তার করা হয়েছে ২ অভিযুক্তকে।
জানা গিয়েছে, উত্তর ২৪ পরগনার দেগঙ্গার (Deganga) বাসিন্দা নির্যাতিতা। বছর ১৫-এর ওই কিশোরী দশম শ্রেণির ছাত্রী। বুধবার সন্ধেয় আত্মীয়ের বাড়ি গিয়েছিল ওই কিশোরী। ফেরার সময় সোহাই এলাকায় তার পথ আটকায় তিন যুবক। অভিযোগ, জোরপূর্বক তাকে নিয়ে যাওয়া হয় এলাকার একটি আমবাগানে। সেখানে ওই তিন যুবক ধর্ষণ করে কিশোরীকে। এরপরই অসুস্থ হয়ে পড়ে নির্যাতিতা। তা সত্ত্বেও কোনওক্রমে অভিযুক্তদের চোখে ধুলো দিয়ে বাড়িতে যায় সে। দিদিকে গোটা ঘটনা জানায়।
[আরও পড়ুন: Weather Update: বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপের আশঙ্কা, সপ্তাহান্তে পুজোর কেনাকাটায় বাদ সাধতে পারে বৃষ্টি]
এরপরই নির্যাতিতাকে সঙ্গে নিয়ে দেগঙ্গা থানার দ্বারস্থ হন দিদি। সেখানে গোটা বিষয়টি জানায় তাঁরা। নির্যাতিতার থেকে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে রাতেই গ্রেপ্তার করা হয়েছে ২ অভিযুক্তকে। তবে এখনও হদিশ মেলেনি একজনের। পুলিশ জানিয়েছে, বিশ্বনাথপুর পুর প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নির্যাতিতার চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়েছে। এই ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসতেই অভিযুক্তদের কঠোরতম শাস্তির দাবি জানিয়েছেন স্থানীয়রা। তাঁদের অভিযোগ, বেশ কিছুদিন ধরেই এলাকায় বেড়েছে অসামাজিক কার্যকলাপ। পলাতক অভিযুক্তও অপরাধমূলক কাজে যুক্ত ছিল বলে দাবি।
উল্লেখ্য, গত দশদিনের মধ্যে পরপর দুটি গণধর্ষণের ঘটনার সাক্ষী রইল দেগঙ্গা এলাকা। বুধবার হাবড়ায় নাবালিকাকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছিল প্রতিবেশী বৃদ্ধের বিরুদ্ধে। একের পর এক এহেন ঘটনায় নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন মহিলারা। প্রশ্ন তুলছেন পুলিশের ভূমিকা নিয়েও।