শংকরকুমার রায়, রায়গঞ্জ: ফের লালসার শিকার বাংলার নাবালিকা। এবার পঞ্চম শ্রেণির ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠল গৃহশিক্ষকের বিরুদ্ধে। জানাজানি হতেই অভিযুক্তকে বেধড়ক মারধর করে উত্তেজিত জনতা। ওই যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। নাবালিকার শারীরিক পরীক্ষার ব্যবস্থা করা হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর দিনাজপুরের (North Dinajpur) কালিয়াগঞ্জে।
জানা গিয়েছে, উত্তর দিনাজপুরের কালিয়াগঞ্জের ৮ নম্বর ওয়ার্ড শেঠ কলোনির বাসিন্দা ওই নাবালিকা। পঞ্চম শ্রেণিতে পড়ে সে। এলাকার বাসিন্দা রঘুনাথ রায় নামে এক যুবকের কাছে টিউশন পড়ত। অন্যান্যদিনের মতোই বৃহস্পতিবার সন্ধেয় গৃহশিক্ষকের কাছে পড়তে গিয়েছিল নাবালিকা। সময় পেরিয়ে গেলেও ফেরেনি সে। এদিকে নাবালিকার বাবা ভেবেছিলেন মেয়েকে নিয়ে রথের মেলায় যাবেন। সেই কারণে মেয়েকে আনতে গৃহশিক্ষকের বাড়িতে যান তিনি। সেখানে গিয়ে স্তম্ভিত হয়ে যান নাবালিকার বাবা। দেখেন, ঘরের মধ্যে বিবস্ত্র অবস্থায় নাবালিকা ও রঘুনাথ নামে ওই গৃহশিক্ষক।
[আরও পড়ুন: কথা দিয়েও বাড়ি ফেরা হল না, মণিপুরের ভূমিধসে মৃত্যু বাংলার জওয়ানের]
এরপরই প্রতিবেশীদের বিষয়টি জানান নাবালিকার বাবা। বিষয়টি জানতে পেরেই ক্ষোভে ফেটে পড়ে উত্তেজিত জনতা। বেধড়ক মারধর করা হয় রঘুনাথকে। কোনওক্রমে প্রাণ বাঁচিয়ে চম্পট দেয় সে। যদিও শেষরক্ষা হয়নি। নাবালিকার পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে গ্রেপ্তার করা হয়েছে অভিযুক্তকে। আগামিকাল ধৃতকে তোলা হবে আদালতে। এ বিষয়ে নাবালিকার বাবা বলেন, “আমি মেয়েকে ডাকতে গিয়ে দুজনকেই বিবস্ত্র অবস্থায় দেখি। মেয়েকে ধর্ষণ করা হয়েছে। অভিযুক্তের কঠোরতম শাস্তি চাই।”
নাবালিকার বাবার অভিযোগ, এর আগেও নাবালিকাকে ধর্ষণ করেছে অভিযুক্ত। কিন্তু কাউকে জানালে খুনের হুমকি দেওয়ায় বিষয়টি গোপন করে নির্যাতিতা। এদিন প্রকাশ্যে চলে এসেছে গোটা ঘটনা। এ বিষয়ে অভিযুক্তের বাবা বলেন, “আমি কিছু জানি না। অভিযোগ সত্যি প্রমাণিত হলে আইনি পথে শাস্তি হোক।”