দিব্যেন্দু মজুমদার, হুগলি: দশম শ্রেণির ছাত্রী প্রেমে পড়েছে। অনেক বুঝিয়েও প্রেমিকের সঙ্গে সম্পর্কচ্ছেদ করাতে পারেননি বাবা-মা। সেই রাগে নাবালিকাকে রাস্তায় ফেলে মারধর করলেন বাবা-মা। তাঁদের অত্যাচারে সংজ্ঞাহীন হয়ে পড়ে কিশোরী। শেষে প্রেমিকই তাকে উদ্ধার করে নিয়ে যায় হাসপাতালে। রবিবার দুপুরে নৃশংস ঘটনাটি ঘটেছে হুগলির চুঁচুড়ায়।
হুগলির (Hooghly) কামারপাড়ার বাসিন্দা ওই নাবালিকা। কাপাসডাঙ্গার বছর সতেরোর এক কিশোরের সঙ্গে প্রণয়ের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়িয়েছিল সে। সিদ্ধান্ত নিয়েছিল প্রতিষ্ঠিত হয়ে বিয়ে করার। দু’জনেই পরিবারকে বিষয়টি জানিয়েছিল। কিন্তু কিশোরীর বাবা-মা এই সম্পর্ক মেনে নিতে চাননি। সকলের চোখ এড়িয়েই প্রেমিকের সঙ্গে দেখা করত নাবালিকা। রবিবার দুপুরে চুঁচুড়া থানার কাছে ঘড়ির মোড়ে ওই প্রেমিক যুগল গল্প করছিল। ঘটনাচক্রে কিশোরীর মা-বাবার নজরে পড়ে বিষয়টি। এরপরই রাস্তার উপর ফেলে মারতে থাকে। পথচলতি বহু মানুষই ঘটনার আকস্মিকতায় হতভম্ব হয়ে যান। মারধরের জেরে জ্ঞান হারায় কিশোরী। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
[আরও পড়ুন: মেরে কান ফাটানোর পর ছিনতাই, ফের যাত্রী হেনস্তার অভিযোগ App Cab চালকের বিরুদ্ধে]
প্রেমিকাকে চোখের সামনে জ্ঞান হারাতে দেখে নিজেকে ঠিক রাখতে পারেনি কিশোর। সে প্রেমিকাকে একটি টোটোয় করে চুঁচুড়া ইমামবাড়া হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানেই চিকিৎসার পর জ্ঞান ফেরে কিশোরীর। উদ্বিগ্ন কিশোর প্রেমিক জানায়, সে বার বার বলেছে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পরই তাঁরা বিয়ে করবে। তারপরেও এই ধরনের ঘটনায় সে রীতিমতো ভীত। অন্যদিকে পুলিশ জানিয়েছে কিশোরীর বাবা-মার সঙ্গে তারা কথা বলেছেন। তবে এই ঘটনায় কোনও পরিবারের পক্ষ থেকেই থানায় অভিযোগ দায়ের হয়নি।