সুকুমার সরকার, ঢাকা: অন্য যুবতীর সঙ্গে বাবাকে আপত্তিকর অবস্থায় দেখে ফেলার শাস্তি! পাঁচ বছরের মেয়েকে খুন বাবার। নৃংশস ঘটনাটি ঘটেছে কুমিল্লা জেলার দেবীদ্বার উপজেলায়। ইতিমধ্যেই মূল অভিযুক্ত-সহ ৫ জনকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। শুরু হয়েছে তদন্ত।
বুধবার দুপুরে বাংলাদেশের (Bangladesh) রাজধানী ঢাকার কারওয়ান বাজারে সংবাদ সম্মেলন করেন র্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইং-এর পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন। তিনি জানান, গত ৭ নভেম্বর বিকেলে কুমিল্লার দেবীদ্বারের বাসিন্দা বছর পাঁচেকের ফাহিমা আক্তার নিখোঁজ হয়ে যায়। ওই দিনই মেয়ে ফাহিমার নামে দেবীদ্বার থানা নিখোঁজ ডায়েরি করেন বাবা আমির হোসেন। এমনকী ঝাড়-ফুঁক করে মেয়েকে খুঁজে আনার জন্য একজন কবিরাজকেও খবর দেওয়া হয়। কিন্তু এসব করেও শেষ রক্ষা হল না। প্রকাশ্যে এল গোটা তথ্য।
[আরও পড়ুন: ‘এ দেশে সকালে মেয়েদের পুজো হয়, রাতে ধর্ষণ’, বীর দাসের মন্তব্যে বিতর্কের ঝড়, দায়ের FIR]
সন্দেহের ভিত্তিতে মঙ্গলবার রাতে কুমিল্লার দেবীদ্বার ও রাজধানীর যাত্রাবাড়ী এলাকা থেকে আমির হোসেন-সহ পাঁচজনকে গ্রেপ্তার (Arrest) করে ব়্যাব। পুলিশের দাবি, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ধৃতরা নির্মম হত্যাকাণ্ডের কথা স্বীকার করে নিয়েছে। র্যাবের তরফে জানানো হয়েছে, আমির হোসেনের সঙ্গে বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক ছিল লাইলি আক্তারের। ছোট্ট ফাহিমা বাবাকে তার প্রেমিকার সঙ্গে আপত্তিকর অবস্থায় দেখে ফেলেছিল। যার জেরেই এই ঘটনা।
জানা গিয়েছে, প্রেমিকার সঙ্গে ঘর বাঁধার সিদ্ধান্ত করেছিলেন আমির। মেয়েকে হত্যা করার পর স্ত্রীকে ডিভোর্স অথবা প্রয়োজনে তাঁকে হত্যা করে প্রেমিকা লাইলিকে বিয়ে করবে বলে বলে ঠিক করেছিল সে। সেই মতোই সুপারি কিলার দিয়ে মেয়ে ফাহিমাকে হত্যা করে আমির। তবে স্ত্রীকে হত্যার আগেই র্যাবের হাতে ধরা পড়ে গেল অভিযুক্ত।