অর্ণব আইচ: মানিকতলায় (Maniktala) নবম শ্রেণির ছাত্রীর রহস্যমৃত্যু। ঘর থেকে উদ্ধার ঝুলন্ত দেহ। পাশ থেকে উদ্ধার সুইসাইড নোট। ইতিমধ্যেই দেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠিয়েছে পুলিশ। কান্নায় ভেঙে পড়েছে পরিবার।
জানা গিয়েছে, মৃত ছাত্রীর নাম সুইটি দাস। বয়স ১৬ বছর। নবম শ্রেণির ছাত্রী ছিল সে। বাবা রঞ্জিত দাস ও মা পূর্ণিমার সঙ্গে মানিকতলার বাগমারি রোড এলাকায় থাকত সে। বৃহস্পতিবার সন্ধেয় বাড়িতে একাই ছিল সুইটি। কাজ সেরে বাড়ি ফিরে পূর্ণিমাদেবী দেখেন দরজা বন্ধ। বহুবার ডাকাডাকি করেও মেয়ের হদিশ মেলেনি। এরপরই প্রতিবেশীদের সাহায্যে দরজা ভাঙেন ওই মহিলা। এরপরই ঘর থেকে ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার হয় সুইটি। তড়িঘড়ি তাঁকে উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া হয় মানিকতলা ইএসআই হাসপাতালে। সেখানকার চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করে। ইতিমধ্যেই দেহটি পাঠানো হয়েছে ময়নাতদন্তের জন্য।
[আরও পড়ুন: উত্তরপ্রদেশে পড়াশোনা, বাংলায় এসে শিক্ষকতার আড়ালে জঙ্গি নিয়োগ, রহস্যময় চরিত্র রাকিব]
পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, ফ্যানের সঙ্গে গলায় ফাঁস দিয়ে ঝুলছিল সুইট। পাশে ছিল পোষা বেড়াল। একটি খোলা খাতাও ছিল সেখানে। তাতেই মিলেছে সুইসাইড নোট। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই খাতায় লেখা ছিল, “আমি তোমাদের ভাল মেয়ে হতে পারলাম না।” ফলে মনে করা হচ্ছে, মানসিক অবসাদে ভুগছিল সুইটি। কিন্তু কারণ নিয়ে ধন্দ রয়েছে। পরিবারের দাবি, সম্প্রতি পরীক্ষার ফল খারাপ হয়েছিল। তবে কী সেই কারণেই এই চরম সিদ্ধান্ত? তা নিয়ে তৈরি হয়েছে ধোঁয়াশা।