শংকরকুমার রায় ও রঞ্জন মহাপাত্র: একের পর এক রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে অশান্তির খবর প্রকাশ্যে আসছে। পুলিশের জালে ধরাও পড়ছে অভিযুক্তরা। তা সত্ত্বেও ঘটে চলেছে একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি। এবার চাকুলিয়ায় শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগ এলাকারই এক যুবকের বিরুদ্ধে। অন্যদিকে, দিঘায় প্রতিবেশী যুবকের লালসার যুবক বধূ। দুটি পৃথক ঘটনায় অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
জানা গিয়েছে, উত্তর দিনাজপুরের চাকুলিয়া থানার শকুন্তলার ঝাড়বাড়ি এলাকার বাসিন্দা ওই নাবালিকা। বয়স মাত্র পাঁচ। অভিযোগ, শনিবার আচমকাই বাড়ি থেকে উধাও হয়ে যায় শিশুটি। প্রথমে মা ভেবেছিলেন মেয়ে বাড়ির পাশে কোথাও খেলছে। বেশ খানিকক্ষণ পেরিয়ে যাওয়ায় সন্দেহ হয় তাঁর। মেয়ের খোঁজ শুরু করেন তিনি। নির্যাতিতার মা জানিয়েছেন, মেয়েকে খুঁজতে বেরিয়ে বাড়ির পাশের ভুট্টা খেত থেকে চিৎকার শুনতে পান তিনি। ছুটে গিয়ে প্রায় নগ্ন অবস্থায় মেয়েকে উদ্ধার করেন তিনি। এদিকে মহিলাকে দেখতে পেয়েই নাবালিকা ও নিজের খুলে রাখা সমস্ত জামা কাপড় নিয়ে দৌড় দেয় অভিযুক্ত সুজয় দাস।
[আরও পড়ুন: স্বামী জেলে, বসিরহাটে পরপুরুষের সঙ্গে লিভ ইন নৃত্যশিল্পীর, পরিণতি মর্মান্তিক]
নির্যাতিতা মাকে জানায়, ফোনে ছবি দেখানোর নাম করে তাকে ডেকে নিয়ে গিয়েছিল সুজয়। মেয়ের কাছ থেকে গোটা ঘটনার বিবরণ শুনে স্বামীকে জানান ওই বধূ। এরপর রবিবার চাকুলিয়া থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়েছে। গ্রেপ্তার করা হয়েছে অভিযুক্তকে। এ বিষয়ে ইসলামপুরের পুলিশ সুপার শচীন মক্কার জানান, “অভিযোগ দায়ের হয়েছে। অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তদন্ত চলছে।”
এদিকে পূর্ব মেদিনীপুরের দিঘায় প্রতিবেশী বউদিকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠল যুবকের বিরুদ্ধে। জানা গিয়েছে, নির্যাতিতা মহিলা দিঘার পায়া গ্রামের বাসিন্দা। কিছুদিন আগে কোনওভাবে মহিলার স্নানের ভিডিও রেকর্ড করে এলাকারই বাসিন্দা বিশ্বজিৎ মণ্ডল। অভিযোগ, সেই ভিডিও ভাইরাল করে দেওয়ার হুমকি দিয়ে মহিলাকে একাধিকবার ধর্ষণ করে অভিযুক্ত। রবিবার পুলিশের দ্বারস্থ হন নির্যাতিতা। ইতিমধ্যেই অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।