চন্দ্রজিৎ মজুমদার, কান্দি: পরিবারের অমতে বিয়ের মাত্র চারদিনের মাথায় আত্মহত্যা নবদম্পতির (Newlywed Couple)। সোমবার সকালে মুর্শিদাবাদের খড়গ্রাম থানার বড়ার গ্রাম থেকে দেহ উদ্ধার হয় তাঁদের। একই ওড়নার ফাঁসে আত্মঘাতী হন দু’জনে। পুলিশ দেহ দুটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠায়। তাদের দেহ কান্দি মহকুমা হাসপাতালে ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে। অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু হয়েছে।
বীরভূমের (Birbhum) লাভপুর দুনাইপুরের বাসিন্দা রাজেশ ঘোষের সঙ্গে বোলপুরের কিশোরীর প্রেমের সম্পর্ক তৈরি হয়। তবে প্রথম থেকেই সম্পর্কে আপত্তি ছিল দুই পরিবারের। দিনচারেক আগে পরিবারের অমতে বাড়ি থেকে বেরিয়ে যায় দু’জনে। বিয়েও করে তারা। কিশোরীর পরিবারের লোকজন পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করেন।
[আরও পড়ুন: মাটিয়ার পর মালদহ, হাত-পা বেঁধে, মাথায় আগ্নেয়াস্ত্র ঠেকিয়ে ছাত্রীকে ‘ধর্ষণ’]
সম্পর্কে পিসেমশাই হওয়ায় বড়ার গ্রামের বাসিন্দা সিদ্ধিনাথ ঘোষের বাড়িতে আশ্রয় নেয় ওই যুগল। রবিবার পর্যন্ত সব ঠিকঠাক ছিল বলেই দাবি নিহত যুবকের পিসেমশাইয়ের। তিনি আরও জানান, সোমবার সকালে তাঁর বোনের ফোন পান। যুবকের খোঁজখবর জানতে চান। কিছুক্ষণ পর জানা যায় ওই যুগল আত্মঘাতী হয়েছেন। গলায় ওড়নার ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেন দু’জনে।
খবর দেওয়া হয় খড়গ্রাম থানার পুলিশকে। দেহ দুটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কান্দি মহকুমা হাসপাতালে পাঠানো হয়। রাজেশের পরিবারের দাবি, “সম্পর্কের শুরু থেকেই রাজেশকে হুমকি দেওয়া হত। এমনকি বিয়ের পরেও মানসিক চাপ দেওয়া হয়েছিল। সে কারণেই আত্মঘাতী হলেন যুগল।” এই ঘটনার পর থেকেই গোটা গ্রামে নেমেছে শোকের ছায়া। একটি অস্বাভাবিক মৃত্যু মামলা রুজু হয়েছে।