জ্যোতি চক্রবর্তী, বনগাঁ: আবাস যোজনায় দুর্নীতি নিয়ে প্রধানের বিরুদ্ধে কথা বলার জের। এক পঞ্চায়েত সদস্যকে খুনের হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠল প্রধানের বিরুদ্ধে৷ বাগদা ব্লকের বয়রা গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। যদিও নিজের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে দাবি করেছেন প্রধান।
জানা গিয়েছে, ওই পঞ্চায়েত সদস্যের নাম দিলীপ দাস। তাঁর স্ত্রী মঞ্জু দাস সোমবার বনগাঁর পুলিশ সুপার জয়িতা বসুর কাছে এবিষয়ে লিখিত অভিযোগ করেছেন। তাঁর অভিযোগ, আবাস যোজনায় গরিব মানুষদের ঘর পাইয়ে দেবার কথা বলে প্রচুর টাকা তুলেছিলেন পঞ্চায়েতের প্রধান অসিত মণ্ডল। দিলীপ ওই টাকা প্রধানের হাতে দিয়েছিলেন। কিন্তু আবাস যোজনার তালিকায় টাকা দেওয়া মানুষদের নাম ওঠেনি। টাকা দিয়েও বাড়ি না পাওয়ায় প্রতারিতরা দিলীপবাবুর উপর চাপ সৃষ্টি করছিলেন। এই পরিস্থিতিতে ২১ ডিসেম্বর দিলীপ দাস দুর্নীতি নিয়ে প্রধানের বিরুদ্ধে মুখ খোলেন সংবাদ মাধ্যমে।
[আরও পড়ুন: স্বামীর নামে সম্পত্তি লেখাতে চাপ, স্ট্যাম্প পেপারে ডিভোর্স! মহিলার উপর ‘নৃশংসতা’ মোড়লদের]
অভিযোগ, এরপরই প্রধান বাড়িতে লোকজন পাঠিয়ে দিলীপবাবুর মুখ বন্ধ করার চেষ্টা করেন। হুমকি দিয়ে বলা হয়, বাড়াবাড়ি করলে প্রাণে মেরে ফেলা হবে। ভাঙচুর করা হবে বাড়ি। মঞ্জু দেবীর দাবি, এই চাপ সহ্য করতে না পেরে ৬ জানুয়ারি বিকেলে দিলীপবাবু বিষ খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। বনগাঁ মহকুমা হাসপাতালে চিকিৎসা করানো হয়। সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরতেই পুলিশে অভিযোগ জানানো হয়েছে।
প্রধান অবশ্য এই অভিযোগ মানতে চাননি। তিনি বলেন, দিলীপ একজন অসৎ লোক। অসৎ উপায়ে বহু মানুষের কাছ থেকে টাকা আত্মসাৎ করেছেন। পারিবারিক অশান্তির জেরে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছে। বিষয়টা নিয়ে সরব হয়েছেন বিরোধীরা৷ বাগদা পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য অমৃতলাল বিশ্বাস বলেন, “তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্য প্রধানের বিরুদ্ধে টাকা আত্মসাতের অভিযোগ করছে। আমাদের দাবি দু’জনকে গ্রেপ্তার করতে হবে। বনগাঁ সাংগঠনিক জেলার তৃণমূল সভাপতি বিশ্বজিৎ দাস বলেন, “অভিযোগ শুনেছি। দলীয়ভাবে বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। পুলিশ জানিয়েছে, “তদন্ত শুরু করা হয়েছে। দাস পরিবারের সদস্যরা আতঙ্কে রয়েছে বলে জানিয়েছেন।”