সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ঘড়ির কাঁটায় পৌনে নটা। শিয়ালদহের উদ্দেশে ছুটছে কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস। আচমকা বিকট শব্দ। জানলা দিয়ে চোখ মেলতেই কয়েকটি কামরার যাত্রীরা দেখলেন খেলনার মতো উলটে-পালটে পড়ে পিছনের কামরা। একই লাইনে মালগাড়ি। কাঞ্চনজঙ্ঘার একটি কামরা ঝুলছে শূন্যে! দুর্ঘটনার মুহূর্তের কথা শোনালেন অভিশপ্ত ট্রেনের যাত্রীরাই।
সোমবার সকাল থেকেই আকাশের মুখ ভার। ঝিরিঝিরি বৃষ্টি চলছিল। প্রবল গরমে এই আবহাওয়া বেশ উপভোগই করছিলেন কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসের যাত্রীরা। ঘড়ির কাঁটা ৯ টার আশেপাশে। নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশন থেকে ১০ কিমি আচমকা বিকট শব্দ পেলেন যাত্রীরা। এক ধাক্কায় থমকে গেল ট্রেন। কেউ কেউ ছিটকে পড়লেন সিট থেকে। যাত্রীদের চোখে মুখে আতঙ্ক। কী ঘটেছে তা বুঝতেই পেরিয়ে গেল কয়েকমূহূর্ত। এক যাত্রী জানালেন, সম্বিত ফিরতেই তিনি দেখলেন, একই লাইনে একটি মালগাড়ি। তার উপর উঠে গিয়েছে কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসের একটি কামরা। আরেকটি কামরা দুমড়ে-মুড়ছে গিয়েছে। বুঝতে পারেন, পিছন থেকে এসে তাঁদের ট্রেনে ধাক্কা দিয়েছে মালগাড়িটি। কামরার অবস্থা দেখেই যাত্রীরা বোঝেন, পরিস্থিতি ভয়ংকর।
[আরও পড়ুন: কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস দুর্ঘটনায় মৃত বেড়ে অন্তত ৮, জখম ৩০]
এদিকে বিকট শব্দ পেয়েই ঘটনাস্থলে ছুটে যান এলাকার বাসিন্দারা। প্রাথমিকভাবেই তাঁরাই উদ্ধার কাজে হাত লাগান। ক্ষতিগ্রস্ত কামরাগুলো থেকে আটকে পড়া যাত্রীদের উদ্ধার করেন। কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসের এক যাত্রীর কথায়, "আমি এখনও ভাবতে পারছি না। বি ১ কামরায় ছিলাম। মাথায় চোট লেগেছে। কেউ সিট থেকে পড়ে গিয়েছেন। আমাদের রেলের তরফে উদ্ধার করা হয়েছে। তবে চোখের সামনে কী ভয়ংকর দৃশ্য দেখেছি, বোঝাতে পারব না।" এ ১ কোচের এক যাত্রী জানান, তাঁদের কোচের কোনও ক্ষতি হয়নি। তবে আতঙ্ক তো আছেনই। দুর্ঘটনাস্থল থেকে কোনওরকমে হেঁটে মেন রাস্তায় পৌঁছন তাঁরা। এর পর বাসে রওনা হন গন্তব্যের উদ্দেশে।