দেব গোস্বামী, বোলপুর: দুবছরের জেলবন্দি দশা কাটিয়ে গরু পাচার মামলায় পুজোর আগেই জামিন পেয়েছেন অনুব্রত মণ্ডল। বোলপুরে ফিরে আগের মতো দল ও সংগঠনের কাজ শুরু করেছেন। দ্বিতীয় দফায় তিনি কতটা সক্রিয় বা কী তাঁর ভূমিকা, তা নিয়ে জেলার অন্দরে বিস্তর আলোচনা হয়েছে। তবে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কড়া বার্তা দিয়েছেন, সকলে মিলে একসঙ্গে কাজ করতে হবে। কোথাও কোনও অন্তর্দ্বন্দ্ব বরদাস্ত নয়। এসবের মাঝে নতুন বছরের শুরুতে সুখবর পেলেন অনুব্রত মণ্ডল। রাজ্যের গ্রামোন্নয়ন পর্ষদের সভাপতি পদে পুনর্বহাল করা হল তাঁকে। এই মর্মে নবান্ন থেকে চিঠি পেয়েছেন বীরভূমের তৃণমূল সভাপতি। আগেও তিনি এই পদে ছিলেন। জেলবন্দি থাকায় ওই পদ ফাঁকাই রাখা হয়েছিল গত দুবছর। জামিন পেয়ে জেলায় ফেরায় ফের অনুব্রতকে সরকারি পদে আনা হল।
২০১৩ সালে গ্রামোন্নয়ন পর্ষদের সভাপতি পদে অনুব্রত মণ্ডলকে মনোনীত করেছিলেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী। সেই থেকে তিনি চেয়ারম্যান। যার দৌলতে তিনি নীল বাতির গাড়ি, জেড ক্যাটাগরি নিরাপত্তা, সরকারি অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকার সুযোগ পেতেন। সেইমতো নানা সরকারি অনুষ্ঠানেও দেখা গিয়েছে অনুব্রতকে। গ্রামাঞ্চলে বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজ এবং বিভিন্ন প্রকল্প এই পর্ষদের আওতায় হয়ে থাকে। সে অর্থে বেশ গুরুত্বপূর্ণ গ্রামোন্নয়ন বিভাগের এই পদ। ২০১৯ সাল পর্যন্ত টানা SRDA-র চেয়ারম্যান ছিলেন অনুব্রত। এরপর করোনাকাল ও নির্বাচনের কারণে এই পদে নতুন করে কাউকে আনা হয়নি। তারপর গরু পাচার মামলায় সিবিআইয়ের হাতে গ্রেপ্তার হয়ে দিল্লির তিহাড় জেলে বন্দি ছিলেন কেষ্ট। ২০২৪ সালে অক্টোবরে জামিনে মুক্ত হন।
এরপর নতুন বছরেই তাঁকে ওই পদ ফিরিয়ে আনা হল। গ্রামোন্নয়ন পর্ষদের চেয়ারম্যান হিসেবে পুনরায় নিযুক্ত হলেন অনুব্রত মণ্ডল। নবান্ন থেকে সেই চিঠিও হাতে পেয়েছেন তিনি। এ বিষয়ে রাজ্যের মন্ত্রী তথা বোলপুরের বিধায়ক চন্দ্রনাথ সিনহা জানান, আগেও তিনি গ্রামোন্নয়ন পর্ষদের চেয়ারম্যান ছিলেন। আবারও ফিরে এলেন সেই পদে। এবার থেকে আর কোনও সরকারি অনুষ্ঠানে তাঁর উপস্থিতিতে কোনও বাধা নেই। এতে মনে করা হচ্ছে, আগের গুরুত্ব ফিরে পাচ্ছেন বীরভূমের দোর্দণ্ডপ্রতাপ তৃণমূল নেতা।