টিটুন মল্লিক, বাঁকুড়া: তৃতীয় শ্রেণির ছাত্রীর শ্লীলতাহানির অভিযোগ। প্রাথমিক স্কুলশিক্ষককে গণপিটুনি অভিভাবকদের। ঘটনাটি ঘটেছে বাঁকুড়ার রঘুনাথপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। এই ঘটনায় অভিযুক্ত প্রাথমিক শিক্ষককে আটক করেছে পুলিশ। স্থানীয় হাসপাতালে তার চিকিৎসার বন্দোবস্ত করা হয়েছে।
বাঁকুড়ার কোতুলপুর থানার ডিঙ্গেররন গ্রামের বাসিন্দা ওই নাবালিকা। বাঁকুড়ার রঘুনাথপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণির ছাত্রী সে। মঙ্গলবার সকালে মিড ডে মিলের জিনিসপত্র নিতে স্কুলে গিয়েছিল ওই ছাত্রীটি। অভিযোগ, সেই সময় প্রাথমিক শিক্ষক মুরারি মোহন মণ্ডল তাকে কুপ্রস্তাব দেয়। শ্লীলতাহানি করে। পোশাক ছিঁড়ে দেয় বলেও অভিযোগ। কাঁদতে কাঁদতে বাড়ি ফেরে নাবালিকা। কান্নাকাটির কারণ জানতে চায় তার মা। প্রাথমিক শিক্ষকের ‘কুকীর্তি’র কথা মাকে জানায় নাবালিকা।
[আরও পড়ুন: আদালতের নির্দেশে শিক্ষিকা প্রেমিকা বরখাস্ত হতেই বিয়ে ভাঙলেন প্রেমিক! ধরনায় তরুণী]
বুধবার সকালে নাবালিকার পরিবারের লোকজন স্কুলের সামনে পৌঁছন। অন্যান্য পড়ুয়াদের অভিভাবকরাও ঘটনাস্থলে যান। ওই শিক্ষককে ঘিরে ধরেন তাঁরা। শিক্ষককে বেধড়ক মারধর করেন সকলে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় কোতুলপুর থানার পুলিশ। অভিযুক্ত শিক্ষককে উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই তার চিকিৎসা চলছে।
তবে এখনও এই ঘটনায় কোনও অভিযোগ দায়ের হয়নি বলেই জানান কোতুলপুরের ওসি। বিষ্ণুপুর মহকুমা পুলিশ আধিকারিকও একই কথা জানান। তিনি বলেন, “এখনও পর্যন্ত এই ঘটনায় কোনও অভিযোগ দায়ের হয়নি। তবে আমরা ঘটনাটি শুনেছি। সেই অনুযায়ী তদন্তও শুরু হয়েছে। আহত প্রাথমিক শিক্ষকের চিকিৎসার বন্দোবস্ত করা হয়েছে।”
এদিকে, তরুণীকে শ্লীলতাহানির অভিযোগ উঠল উত্তর ২৪ পরগনার বনগাঁর গোপালনগর থানা এলাকায়। নির্যাতিতার অভিযোগের ভিত্তিতে হামিদ মণ্ডল নামে ওই যুবককে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। ধৃত গোপালনগর থানা এলাকার বাসিন্দা। গোপালনগর থানার পুলিশ বুধবার রাতে তাকে হরিশপুর এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে।
দেখুন ভিডিও: