দীপঙ্কর মণ্ডল: ফের শিরোনামে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় (Jadavpur University)। এবার ছাত্রীকে ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগ উঠল ঐতিহ্যবাহী এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের এক অধ্যাপকের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি জানাজানি হতেই চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।
জানা গিয়েছে, অভিযুক্ত অধ্যাপকের অধীনে গবেষণা চালাচ্ছিলেন নির্যাতিতা ছাত্রী। থিসিস পেপার জমা দেওয়া নিয়ে কিছু সমস্যা তৈরি হয়েছিল। সেই সংক্রান্ত কারণেই ছাত্রীকে নিজের ঘরে ডেকেছিল অভিযুক্ত। অভিযোগ, সেখানে যেতেই ছাত্রীকে ধর্ষণের চেষ্টা করেন আন্তর্জাতিক সম্পর্কের এক অধ্যাপক। কোনওরকমে সেখান থেকে পালিয়ে আসেন নিগৃহীতা। এরপর সোশ্যাল মিডিয়ায় অধ্যাপকের আচরণের বিস্তারিত বিবরণ লেখেন ওই ছাত্রী। লেখেন, “ওনার ঘরে যেতেই আমাকে তাঁর সামনে সোজাসুজি দাঁড়াতে বলেন। ক্রমাগত আমার দিকে আপত্তিকরভাবে তাকাচ্ছিলেন। এরপর আমার উরু, গাল, পিঠ স্পর্শ করতে থাকেন। আমাকে চুম্বন করে জড়িয়ে ধরার চেষ্টা করেন। এরপর আমাকে বিছানায় ঠেলে ফেলে বলেন, ‘ব্যাস, এক বার’। আমি উঠে বেরনোর চেষ্টা করি। উনি বাধা দেন।”
[আরও পড়ুন: INK কাণ্ড: ‘উঠে এলে মিলবে হুইস্কি’, মদের টোপ দিয়েও উদ্ধার করা যায়নি সুরাপ্রেমী সুজিতকে]
শুধু তাই নয়, এই ফেসবুক পোস্টের আগেই অভিযুক্ত অধ্যাপকের বিরুদ্ধে যাদবপুর থানায় লিখিত অভিযোগ করেন ওই ছাত্রী। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, সহ-উপাচার্য ও রেজিস্ট্রারের কাজেও অভিযোগ জানিয়েছেন তিনি। ইতিমধ্যেই এই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। তবে এখনও অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করা হয়নি বলেই খবর।
উল্লেখ্য, গত বছর একই অভিযোগ উঠেছিল যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের এক অধ্যাপকের বিরুদ্ধে। গবেষক ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছিল। যাদবপুর থানায় (Jadavpur PS) লিখিত অভিযোগের পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকেও গোটা ঘটনা জানিয়েছিলেন নির্যাতিতা। আর সেই প্রেক্ষিতেই এবার অভিযুক্ত অধ্যাপককে তাঁর পদ থেকে সরানোর সিদ্ধান্ত নিল বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।