সৌরভ মাজি, বর্ধমান: খুন নাকি আত্মহত্যা? প্রণয়ঘটিত কারণ নাকি সাংসারিক বিবাদ? বর্ধমানে ভাড়াবাড়ি থেকে অধ্যাপকের (Professor) দেহ উদ্ধারের ঘটনায় একাধিক প্রশ্নের ভিড়। ঘটনার পর থেকে নিহতের স্ত্রী পলাতক। কী কারণে পালিয়ে গেলেন তিনি, তা নিয়ে ঘনীভূত রহস্য।
কয়েক বছর আগে বিয়ে হয়েছিল বর্ধমান (Burdwan) মহিলা কলেজের ভূগোলের সহকারী অধ্যাপক মহম্মদ আকতার হুসেনুর রহমানের। জুন থেকে বর্ধমানের মেঘনাদ সাহা পল্লিতে ভাড়াবাড়িতে থাকতেন অধ্যাপক। স্ত্রী ছাড়া বছর চল্লিশের অধ্যাপকের সঙ্গে এই ভাড়াবাড়িতে থাকতেন না কেউই। বুধবার ভোর চারটে নাগাদ নিহত অধ্যাপকের বাবার ফোন বেজে ওঠে। ভোরে পুত্রবধূর ফোন দেখে কিছুটা অবাক হয়ে যান বৃদ্ধ। ফোন ধরেই শুনতে পান দুঃসংবাদ। বউমা বলে তার স্বামী শৌচালয়ে পড়ে গিয়েছেন। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেন শ্বশুর। তবে গৃহবধূ জানায়, স্বামী অচৈতন্য হয়ে গিয়েছেন। এরপর তড়িঘড়ি বীরভূমের মাড়গ্রাম থানার একডালা গ্রামের আদিবাড়ি থেকে বর্ধমানের মেঘনাদ সাহা পল্লি এলাকায় ভাড়াবাড়িতে ছেলেকে দেখতে আসেন অধ্যাপকের বাবা। পৌঁছে দেখেন বাইরে থেকে ভাড়াবাড়ির দরজা বন্ধ। দরজা ঢেলে ভিতরে ঢুকে অবাক হয়ে যান বৃদ্ধ। দেখেন ঘরের মাঝে পড়ে রয়েছে ছেলের নিথর দেহ। তবে পুত্রবধূ পলাতক।
[আরও পড়ুন: বন সহায়ক পদে চাকরি দেওয়ার নামে ‘কারচুপি’, পরোক্ষে রাজীবের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক মমতা]
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিশ (Police)। অধ্যাপকের দেহ উদ্ধার করেন। পুলিশ সূত্রে খবর, ঘর অগোছালো অবস্থায় ছিল। দেহ উদ্ধারের সময় অধ্যাপক প্রায় নগ্ন অবস্থায় ছিলেন। নিম্নাংঙ্গে শুধু একটি গামছা পরেছিলেন তিনি। গায়ে চাপা ছিল কম্বল। তাঁর মাথার পিছনে মিলেছে রক্তের দাগ। কোনওভাবে মাথার পিছনে ওই অধ্যাপক আঘাত পেয়েছেন বলেই প্রাথমিক তদন্তে অনুমান পুলিশের। তবে কীভাবে আঘাত পেয়েছেন তিনি, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ঘটনার পর থেকে পলাতক অধ্যাপকের স্ত্রী। স্থানীয়দের দাবি, খুন করা হয়েছে অধ্যাপককে। তবে কে বা কারা এই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত সে বিষয়ে কিছু বুঝতে পারছেন না তাঁর পরিজন-প্রতিবেশীরাও।