সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আর সপ্তাহ দুয়েকের মধ্যেই চাঁদের (Moon) মাটিতে আছড়ে পড়তে চলেছে ৩ থেকে ৪ টন ওজনের ১৫ মিটার দীর্ঘ একটি রকেট। এর আগে মনে করা হয়েছিল সেটি ধনকুবের এলন মাস্কের সংস্থা স্পেস এক্সের ফ্যালকন রকেটের অংশ। কিন্তু এবার জানা গেল, ওই রকেটি মাস্কের সংস্থার নয়। ২০১৪ সালে উৎক্ষিপ্ত চিনের একটি মহাকাশযানের অংশ এটি।
মার্কিন মহাকাশ গবেষক বিল গ্রে প্রথম সম্ভাব্য সংঘর্ষের কথাই সকলকে জানান। চাঁদের নিরক্ষরেখার সামান্য উত্তরে ওই রকেটটি আছড়ে পড়বে। কিন্তু চাঁদের মাটিতে ওই রকেটটি আছড়ে পড়লে তার প্রভাব কতটা ক্ষতিকর হতে পারে? এবিষয়ে অবশ্য বিজ্ঞানীরা আশ্বস্তই করছেন। জানা যাচ্ছে, তেমন কোনও বড় প্রভাব এই সংঘর্ষের ফলে পড়বে না।
[আরও পড়ুন: লাগবে না টিকাকরণের শংসাপত্র, ২১ ফেব্রুয়ারি থেকে অবাধ পুরীর মন্দিরে প্রবেশ]
জানা গিয়েছে, ২০১৪ সালে চিনের মহাকাশযান টি১-কে উৎক্ষেপণ করা হয়। চিনের চন্দ্রাভিযানের অংশ ছিল ওই মহাকাশযান। সেটিরই বুস্টার ছিল ০৬৫বি নামের ওই রকেট। এবার সেটিই আছড়ে পড়বে চন্দ্রপৃষ্ঠে। গত মাসে নাসা জানিয়েছিল, তারা ওই রকেটটির দিকে নজর রেখেছে। সেটি চাঁদে আছড়ে পড়লে যে গহ্বরটি তৈরি হবে সেটিও খতিয়ে দেখা হবে বলে জানাচ্ছে মার্কিন মহাকাশ সংস্থা।
কিন্তু কেন ভুল হিসেবে? মহাকাশ গবেষক জোনাথন ম্যাকডয়েল তাঁর টুইটারে লিখেছেন, ”রকেটটি চাঁদে আছড়ে পড়বেই। কিন্তু একটু বদল আছে। এটা সেই রকেট নয় যেটি আমরা ভেবেছিলাম। ডিপ স্পেস অবজেক্টকে ট্র্যাক করার সমস্যার ফলেই এই ভুলটা হয়েছিল।”
[আরও পড়ুন: জনবিচ্ছিন্ন হচ্ছে কংগ্রেস! ৪৬ বছর পর ‘হাত’ ছাড়লেন প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী]
এদিকে, এমনভাবে কোনও রকেটের চাঁদের মাটিতে আছড়ে পড়ার ঘটনা বেশ বিরল। তবে এর আগেও এমন ঘটেছে। তবে সেক্ষেত্রে পৃথিবীর আবহাওয়ামণ্ডলে অনেক সময় কোনও রকেট ঢুকে পড়ার সম্ভাবনা থাকলে সেটিকে চাঁদের মাটির সঙ্গে সংঘর্ষ ঘটানো হয়। তবে সেটি যেহেতু নিয়ন্ত্রিত সংঘর্ষ, তাই তেমন আশঙ্কা তৈরি হয়নি কখনওই। তাই এবারের সংঘর্ষের দিকে বিশেষ নজর থাকবে বিজ্ঞানীদের। যদিও তেমন বড় দুর্ঘটনার সম্ভাবনা নেই। তবুও সতর্ক থাকতে চাইছেন তাঁরা।