সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: অন্তরীক্ষে পাড়ি দিল প্রোবা-৩। ইউরোপীয় স্পেস এজেন্সির ওই সৌরপর্যবেক্ষণকারী কৃত্রিম উপগ্রহকে নিয়ে ইসরোর ওয়ার্কহর্স রকেট পিএসএলভি রওনা দিল বৃহস্পতিবার দুপুরে। বুধবারই শ্রীহরিকোটার সতীশ ধাওয়ান মহাকাশ কেন্দ্র থেকে উৎক্ষেপণ হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু যান্ত্রিক ত্রুটির জেরে তা সম্ভব হয়নি।
কী কাজ করবে এই উপগ্রহ? জানা যাচ্ছে, এটি আসলে দুটি যানের মিশেল। একটি করোনাগ্রাফ। অন্যটি অকাল্ট। সূর্যের ছটা অর্থাৎ করোনার ছবি তুলবে এই স্পেসক্র্যাফট দুটি। এর মধ্যে অকাল্ট সূর্যকে ঢেকে দেবে। আর ছবি তুলবে করোনাগ্রাফ। পরে সেই ছবি বিশ্লেষণ করে সূর্যের নানা রহস্য সমাধান করবেন বিজ্ঞানীরা। এই দুই মহাকাশযানের সম্মিলিত ওজন ৫৪৫ কেজি। পৃথিবীর আবহাওয়ামণ্ডল থেকে এদের মহাকাশে পৌঁছে দেওয়ার দায়িত্ব নিয়েছে পিএসএলভি রকেট। ইসরোর এই রকেটটির দৈর্ঘ্য ৪৪.৫ মিটার। ওজন ৩২০ টন। উৎক্ষেপণের ১৮ মিনিটের মধ্যে এটি পৃথিবীর উপরে ৬০০ কিমি দূরত্বে পৌঁছে যাওয়ার কথা।
প্রসঙ্গত, এই প্রথম নয়। এর আগেও ভারতীয় রকেটে ইউরোপীয় মহাকাশ সংস্থার স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ করা হয়েছিল। সেটা ২০০১ সাল। প্রোবা-১ পাড়ি দিয়েছিল মহাকাশে। একবছর কর্মক্ষম থাকার কথা থাকলেও শেষপর্যন্ত তা দুই দশকের দীর্ঘ সময়সীমায় কাজে করে গিয়েছিল। এবার পালা প্রোবা-২-এর।
বলে রাখা ভালো সূর্য সম্পর্কে প্রতিনিয়ত গবেষণা চলছে। ইসরোর সৌরযান আদিত্য এল ১ সদ্যই সৌরজগতের কর্তা সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ খবর দিয়েছে। কে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। কেননা এর সাহায্যে নেটওয়ার্কের মাধ্যমে পাওয়ার গ্রিড এবং কমিউনিকেশন স্যাটেলাইটকে ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা করা সম্ভব হবে। ২০২৩ সালের ২ সেপ্টেম্বর অন্ধ্রপ্রদেশের শ্রীহরিকোটার সতীশ ধাওয়ান স্পেস সেন্টার থেকে উৎক্ষেপণ করা হয় আদিত্যকে। ৩ সেপ্টেম্বর প্রথমবার কক্ষপথ বদলেছিল সৌরযান। এর পর একে একে পাঁচবার কক্ষপথ বদলে পৃথিবীর ‘মায়া’ কাটিয়ে মহাশূন্যে পাড়ি দিয়ে সূর্যের কাছাকাছি পৌঁছে যায় সে। এবার প্রোবা-২ নতুন কী খবর দেয় সূর্য সম্পর্কে সেটাই দেখার।