চন্দ্রজিৎ মজুমদার, কান্দি: তিনি অর্থনীতিবিদ। সাইবেরিয়ান রেলওয়েতে মোটা বেতনের চাকরি করতেন। বাঙালি যুবকের ভালোবাসার টানে সাত সমুদ্দুর পেরিয়ে রাশিয়ান তরুণী আলেকজান্দ্রা ইভানোভা হাজির বাংলায়। সহস্রাংশু সিংহকে বিয়ে করতে একেবারে মুর্শিদাবাদের কান্দিতে। রাশিয়ার নোবোসিবিস্কের বাসিন্দা আলেকজান্দ্রারসঙ্গে সহস্রাংশুর পরিচয় হয় মস্কোয় গিয়ে। কান্দির তাঁতিপাড়ার সহস্রাংশু ২০১৬ সালে বিলেতের অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে যান। সেখান থেকেই মস্কোয় গিয়েছিলেন। সেই সময় আলেকজান্দ্রার সঙ্গে তাঁর পরিচয় ও প্রেম। সেই প্রেমের টানেই রুশ দেশের পাঠ চুকিয়ে মাকে নিয়ে বাংলায় ছুটে আসেন এই রুশ তরুণী। অভ্যস্ত স্কার্ট ছেড়ে আলেকজান্দ্রা বাঙালির বেনারসি শাড়ি পরে বিয়ের পিঁড়িতে বসেন।
[আরও পড়ুন: ঝালদা পুরসভা নিয়ে হাই কোর্টের ডিভিশন বেঞ্চে কংগ্রেস, সোমবার শুনানির সম্ভাবনা]
শুভ দৃষ্টি, মালাবদল, সিঁদুরদান সহ হিন্দু বাঙালি বিয়ের যাবতীয় রীতি মেনে প্রেমিককে বিয়ে করেন এই রুশ তরুণী। মেয়ের বিয়েতে মা মারিনা অ্যানোথিনাও দু’দিন ধরে তারিয়ে তারিয়ে উপভোগ করেছেন হিন্দু ভারতীয় বিয়ে। বিয়ে দেখতে আমন্ত্রিত অতিথির সংখ্যাও কম ছিল না। নব আলেকজান্দ্রা জানিয়েছেন, ‘‘আমি খুব খুশি এই ভারতীয় সংস্কৃতি মেনে বাঙালি মতে বিয়ে করতে পেরে।’’ বিয়ে দিয়েছেন পুরোহিত চন্ডিচরন হালদার।
পুরোহিত জানিয়েছেন, ‘‘জীবনে এই প্রথম আমি বিদেশী কনের বিয়ে দিলাম।খুব আনন্দ হচ্ছে। দেখলাম ওঁরা বাঙালি সংস্কৃতিকে ভালোবাসে। বৈদিক মন্ত্র উচ্চারন করার বার বার চেষ্টা করেছে নববধূ।’’ মাত্র মাস তিনেক আগে ডোমকলের কাতলামারী গ্রামে কানাডা থেকে এসে বিয়ের পিড়িতে বসেছিলেন এক যুবতী। এবার আলেকজান্দ্রা ইভানোভাও প্রেমের টানেই ছুটে এসেছেন মুর্শিদাবাদ কান্দির ছাতিনাকান্দির তাঁতিপাড়ায়।