দেবব্রত মণ্ডল, বারুইপুর: স্কুল বন্ধ থাকায় মোবাইলে গেমে আসক্ত হয়ে গিয়েছিল মেয়ে। তা নিয়ে মা ও মেয়ের মধ্যে অশান্তি লেগেই থাকত। বকাবকির জেরে অভিমানে গলায় ওড়নার ফাঁস লাগিয়ে আত্মঘাতী ওই স্কুলছাত্রী। মঙ্গলবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার ভাঙড়ের কাশীপুর থানার বামুনিয়ার গোয়ালবাড়ি এলাকায়।
পুলিশ জানিয়েছে, বাবা ও মায়ের সঙ্গে ওই এলাকায় বাস করত বছর চোদ্দর স্কুলছাত্রী। বাবা পেশায় খাটাল মালিক। স্থানীয় স্কুলের অষ্টম শ্রেণিতে পড়ত। লকডাউনের সময় স্কুল বন্ধ ছিল। মেয়ের অনলাইন ক্লাস করার জন্য একটি মোবাইল ফোন কেনেন। তারপর থেকেই ছাত্রীর মোবাইল গেমের প্রতি আসক্তি তৈরি হয়।
[আরও পড়ুন: লাগাতার নাবালিকা মেয়েকে ধর্ষণ! অন্তঃসত্ত্বা হতেই প্রকাশ্যে অধ্যাপক বাবার কীর্তি]
লকডাউনের পর স্কুল খুলেছিল। সেই সময় মোবাইল গেমের প্রতি আসক্তি কিছুটা কমেছিল। তবে বর্তমানে রাজ্য সরকারের নির্দেশে স্কুলগুলিতে চলছে গরমের ছুটি। স্কুল ছুটি থাকায় পড়াশোনা না করে সারাদিন মোবাইল গেমেই ব্যস্ত থাকত কিশোরী। তা মোটেও ভাল চোখে দেখেনি তার বাবা-মা। মা কিশোরীকে বকাবকিও করেন। মেয়ের কাছ থেকে মোবাইল কেড়ে নেন। তারপরই অভিমানে ঘরের মধ্যে গলায় ওড়নার ফাঁস লাগিয়ে আত্মঘাতী হয় কিশোরী।
খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। কিশোরীকে উদ্ধার করে জীরানগাছা ব্লক হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। তবে ততক্ষণে সব শেষ। চিকিৎসকরা জানান মৃত্যু হয়েছে কিশোরীর। পুলিশ তার দেহ ময়নাতদন্তে পাঠায়। মৃতার বাবা বলেন, “স্কুল বন্ধ থাকায় অনলাইন মেয়ের ক্লাস চলছিল। খুব কষ্ট করে একটি মোবাইল কিনেছিলাম। তারপর থেকেই মেয়ে মোবাইল গেমের প্রতি আসক্ত হয়ে পড়ে। পড়াশোনা না করায় তার মা সামান্য বকাবকি করে। আর সে আত্মহত্যার পথ বেছে নেয়। আমি চাই অবিলম্বে সমস্ত স্কুল খুলুক। আমার মতো কোনও বাবা-মা যেন তার সন্তানকে না হারান।”