সুমন করাতি, হুগলি: ঘরে জোরে জোরে চলছে টিভি। মেঝেতে পড়ে চতুর্থ শ্রেণির ছাত্র। রক্তারক্তি কাণ্ড। গোটা শরীরে একাধিক আঘাতের চিহ্ন। বাড়িতে ঢুকে কেউ তাকে কুপিয়ে খুন করেছে বলেই অনুমান। হুগলির কানাইপুর আদর্শনগর ইংলিশ রোডের ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য। চন্দননগর পুলিশ কমিশনারেটের আধিকারিকরা ঘটনার তদন্তে নেমেছে।
বাবা পঙ্কজ এবং মা গুড্ডির একমাত্র সন্তান স্নেহাংশু শর্মা। বাবা কলকাতার একটি বেসরকারি সংস্থায় কর্মরত। মা কসমেটিক্সের দোকানে কাজ করেন। সন্ধ্যার দিকে বেশিরভাগ সময় একা থাকত স্নেহাংশু। শুক্রবার সন্ধ্যাতেও একাই ছিল সে। নিজের ঘরে বসে চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রটি পড়াশোনা করছিল। তার পাশের ঘরে টিভিও চলছিল। আচমকাই স্নেহাংশুর খুড়তুতো বোন বাড়িতে ঢোকে। চিৎকার করতে শুরু করে। প্রতিবেশীরা জড়ো হয়ে যায়। তারা দেখে বাড়িতে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছে খুদে পড়ুয়া। তাজ্জব হয়ে যান সকলেই।
[আরও পড়ুন: ফের রাজ্যে ফিরল শীত, আগামী ২ দিন কেমন থাকবে তাপমাত্রা?]
খবর পেয়ে তৎক্ষণাৎ ঘটনাস্থলে পৌঁছয় চন্দননগর পুলিশ কমিশনারেটের আধিকারিকরা। শিশুকে উদ্ধার করে হিন্দমোটরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। তবে চিকিৎসকরা তাকে মৃত বলে জানান। পুলিশ সূত্রে খবর, শিশুটিকে উদ্ধারের সময় একাধিক আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গিয়েছে। মাথাতেও ধারালো কিছু দিয়ে আঘাত করা হয়েছে। মৃত শিশুর দেহ ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে। খুন বলেই অনুমান তদন্তকারীদের। কে বা কারা এই কাজ করল, তা স্পষ্ট নয়। কেনই বা খুন করা হল শিশুকে, তা নিয়েও ধন্দ রয়েছে।