সৌরভ মাজি, বর্ধমান: সাঁতার প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে স্কুলছাত্রের রহস্যমৃত্যু। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে বর্ধমানের কল্পতরু মাঠ সংলগ্ন এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য। মৃতের পরিবারের লোকজনের দাবি, খুন করা হয়েছে পড়ুয়াকে। যদিও সাঁতার প্রশিক্ষণ কেন্দ্র এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে। ছাত্রমৃত্যু নিছক দুর্ঘটনা বলেই পালটা দাবি তাদের।
মৃত কাইফ মণ্ডল, বর্ধমান শহর সংলগ্ন কৃষ্ণপুরের বাসিন্দা। ১৯ বছর বয়সি কাইফ একটি ইংরেজি মাধ্যম স্কুল থেকে এবার দ্বাদশ শ্রেণির পরীক্ষা দিয়েছে। বর্ধমানের কল্পতরু মাঠে চিল্ড্রেন কালচারাল সেন্টারে সাঁতার শিখত সে। প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে মাত্র এক মাস আগে ভরতি হয়েছিল কাইফ। শুক্রবার সকালে সাঁতার প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের পুলেই মৃত্যু হয় তার। তা নিয়ে চাঞ্চল্য ছড়ায়।
[আরও পড়ুন: এক্সিট পোলে এগিয়ে কংগ্রেস, কর্ণাটকের ফল নিয়ে কী বলছে দেশের সেরা সাট্টা বাজারগুলি?]
মৃতের আত্মীয় শেখ জাকির হোসেন জানান, প্রতিদিনের মতো স্কুলছাত্র সাঁতার শিখতে যায়। খবর দেয় সে অসুস্থ। দ্রুত হাসপাতালে পৌঁছন স্কুলছাত্রের পরিবারের লোকজন। তবে ততক্ষণে কাইফের মৃত্যু হয়েছে। সাঁতার প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের কেউ সেখানে ছিলেন না বলেই দাবি ছাত্রের পরিবারের। ছাত্রটিকে খুন করা হয়েছে বলেই দাবি মৃতের পরিবারের। বর্ধমান থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। চিল্ড্রেন কালচারাল সেন্টারের যুগ্ম সম্পাদক সৌগত হালদার মৃতের পরিবারের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
জানান, “এখানে জলে ডুবে মৃত্যু সম্ভব নয়। সে এখন রেলিং ধরে অনুশীলন করত। ছেলেটি অসুস্থ হওয়ার পর চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যাওয়া হয়। তখনও তার পালস ছিল। দ্রুত তাকে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। তাঁদের ধারণা, স্কুলছাত্র কোনও কারণে অসুস্থ ছিল। তাই এই দুর্ঘটনা। এর আগে ২০১২ সালের ২ সেপ্টেম্বর এই সাঁতার প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে রহস্যজনকভাবে রমেন সামন্ত নামে এক কলেজ ছাত্রের মৃত্যু হয়। ২০১৯ সালে হাই কোর্টের নির্দেশে সিবিআই ঘটনার তদন্ত শুরু করে। তার বছর চারেকের মাথায় ফের ছাত্রের রহস্যমৃত্যু।