দীপালি সেন: আগস্টের পর নভেম্বর। প্রথম বর্ষের ছাত্রমৃত্যুর তিনমাসের মাথায় ফের যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের মেন হস্টেলে ব়্যাগিংয়ের অভিযোগ। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে অভিযোগ দায়ের ছাত্রের। অভিযোগ খতিয়ে দেখা হবে বলেই আশ্বাস উপাচার্য বুদ্ধদেব সাউয়ের।
সূত্রের খবর, ওই ছাত্র যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের মেন হস্টেলের সিডি ব্লকের আবাসিক। স্নাতকোত্তর প্রথম বর্ষের দর্শন বিভাগের ছাত্র। তিনি বাঁকুড়ার বাসিন্দা। ই-মেল মারফৎ অভিযোগ জানান তিনি।মানসিকভাবে বিপর্যস্ত বলে ই-মেলে উল্লেখ করেন ওই পড়ুয়া। হস্টেলে আর তিনি থাকতে পারছেন না বলেই জানিয়েছেন।
অভিযোগ পেয়েছেন, তা স্বীকার করেন ডিন অফ স্টুডেন্টস রজত রায়। তিনি বলেন, “একটি অভিযোগ পেয়েছি। মেন হস্টেল বলা হচ্ছে। কিন্তু আদৌ কোন হস্টেলের আবাসিক ওই ছাত্র, তা বোঝা যায়নি এখনও। আমি বিষয়টি সম্পর্কে সংশ্লিষ্ট বিভাগের সকলকে অবগত করেছি। হস্টেল সুপারের সঙ্গে কথা হয়েছে। অ্যান্টি ব়্যাগিং স্কোয়াড তদন্ত করবে। তাঁদের জানানো হয়েছে। বিষয়টি খতিয়ে দেখার কাজ চলবে।” ব়্যাগিংয়ের তদন্ত কমিটিতে তিনি নেই বলেই কার্যত দায় এড়ান রেজিস্ট্রার স্নেহমঞ্জু বসু। তিনি জানান, “অন্য কাজে খুব ব্যস্ত আছি। এমন ঘটলে যাঁরা দায়িত্বে রয়েছেন, তাঁরা নিশ্চয়ই দেখবেন। উপাচার্য বিষয়টি দেখছেন হয়তো।”
[আরও পড়ুন: ডাক্তার পাত্রের সঙ্গে ‘গাঁটছড়া’ শ্রীপর্ণার, বিয়ে বাড়িতে এলাহি আয়োজন, কী কী ছিল মেনুতে?]
উপাচার্য বুদ্ধদেব সাউও অভিযোগের সত্যতা স্বীকার করেছেন। তিনি বলেন, “বিষয়টি শুনেছি। তদন্ত করবে সংশ্লিষ্ট কমিটি। যদি এমন ঘটে থাকে তা বরদাস্ত নয়। অন্যায়। কিন্তু আসলে কী ঘটেছে, সেটাও দেখা প্রয়োজন। অভিযোগের তদন্ত হোক। আর আলাদা হস্টেল, প্রতি বর্ষের পড়ুয়াদের জন্য আলাদা হস্টেল করার কথা থাকলেও বিশ্ববিদ্যালয়ের একটা অংশ করতে দিচ্ছে না। কী স্বার্থে জানি না। অন্যদিকে সরকার ইসি বৈঠকের অনুমতি দিচ্ছে না।”
অ্যান্টি ব়্যাগিং স্কোয়াড প্রধান সন্ময় কর্মকার বলেন, “আমি বিষয়টি শুনছি সবেমাত্র। এখনও পর্যন্ত বিস্তারিত কিছুই জানি না। অফিসিয়াল মেল চেক করিনি। কিছু এসেছে কিনা দেখে বাকিটা বলতে পারব।” যদিও মেন হস্টেলের সুপার কোনও অভিযোগ পাননি বলেই দাবি।