টিটুন মল্লিক, বাঁকুড়া: প্রেমিকার উপর অভিমান। ফেসবুক লাইভে ক্ষোভ উগরে আত্মঘাতী দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্র। ঘটনাকে কেন্দ্র করে তীব্র উত্তেজনা ছড়িয়েছে বাঁকুড়ার (Bankura) আঁচুড়ি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায়। কান্নায় ভেঙে পড়েছে পরিবারের সদস্যরা।
বাঁকুড়া শহরের বাঁকুড়া ১ নম্বর ব্লকের আঁচুড়ি গ্রামপঞ্চায়েত এলাকার বাসিন্দা রৌণক কাপড়ি। লোকপুর হাইস্কুলের দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্র ওই যুবক। বাবা সন্দীপ কাপড়ি পুলিশ লাইনে কর্মরত। গাড়ি চালাতেন তিনি। এদিকে রৌণক পড়াশোনার পাশাপাশি একটি ইউটিউব চ্যানেল চালাতেন। গত বুধবার রাতে আঁচুড়ির বাড়ি থেকেই ইউটিউবে (Youtube) লাইন করেন ওই যুবক। জানান, ওটাই তাঁর শেষ ভিডিও। আত্মহত্যার সিদ্ধান্তের কথাও জানান তিনি। প্রেমিকা নাম না করেই তার বিরুদ্ধে একরাশ ক্ষোভ উগরে দেন। বলেন, “কিছু মানুষ নিঃস্বার্থভাবে ভালবাসে। কিন্তু সে আমার চোখের কান্না দেখতেও পায় না। সে অন্যের কান্না দেখতে পায়। তাই চলে যাচ্ছি না ফেরার দেশে। ভালোবেসো না কেউ, ঠকে যাবে।” গলায় ফাঁস দেওয়ার জন্য সিলিংয়ের ঝোলানো কাপড়ও দেখান তিনি।
[আরও পড়ুন: ‘অনুব্রত নেই বলে…’, গরম চায়ের কাপ হাতে বোলপুরে বসে কেষ্ট-স্মরণ দিলীপের]
বন্ধুবান্ধবরা বিষয়টা দেখতে পেয়েই কমেন্ট করতে থাকে। কিছুক্ষণের মধ্যে বাড়িতে জড়ো হন বহু মানুষ। কিন্তু ততক্ষণে সবটা শেষ। ঘর থেকে উদ্ধার হয় রৌণকের ঝুলন্ত দেহ। ইতিমধ্যেই দেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠিয়েছে পুলিশ। মৃতের এক আত্মীয় বলেন, “ছেলেটি খুব মিশুকে ছিল। কারও সঙ্গে কোনওদিন ঝগড়াঝাটি করতে দেখিনি।”
জানা গিয়েছে, বাঁকুড়া শহরের লোকপুর হাইস্কুলে ভরতি হওয়ার পর থেকেই একটি মেয়ের সঙ্গে প্রণয়ের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েছিলেন রৌণক। প্রেমিকার সঙ্গে মাঝে মধ্যেই নাকি অশান্তি হচ্ছিল। তবে তার যে এরকম পরিণতি হবে তা কেউ ভাবতেই পারেনি। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নিয়ে যাওয়া হয়েছে বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। কিন্তু এই ঘটনার কোনও লিখিত অভিযোগ হয়নি। বাঁকুড়া জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বিবেক বর্মা জানিয়েছেন, অভিযোগ হাতে পেলে তদন্ত শুরু করা হবে।