অংশুপ্রতিম পাল, খড়গপুর: আজ থেকে ৩৩ বছর আগের কথা। বর্তমানে আপ সুপ্রিমো তথা দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল (Arvind Kejriwal) সেইসময় খড়গপুর আইআইটির ছাত্র ছিলেন। ১৯৮৫ থেকে ১৯৮৯ সাল পর্যন্ত অরবিন্দ কেজরিওয়াল খড়গপুর আইআইটির মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগে পড়েছে। তারপর গঙ্গা-যমুনা দিয়ে অনেক জল গড়িয়ে গিয়েছে। সেদিনের আইআইটির পড়ুয়া অরবিন্দ কেজরিওয়াল এখন দেশের রাজধানী দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর হাতে গড়া এই আম আদমি পার্টির (AAP) যোগ্য উত্তরসূরি হিসাবে এবারে নেমে পড়লেন খড়গপুর আইআইটির এই একই বিভাগের ফাইনাল ইয়ারের গবেষক পড়ুয়া সুধীর সিং।
হরিয়ানার গাজিয়াবাদে বাড়ি সুধীর সিংয়ের। এই দলের সদস্য হওয়ার আবেদন সম্বলিত পোস্টার লাগানোর কাজ শুরু করেছেন গোটা খড়গপুর শহর জুড়ে। সঙ্গী হিসাবে পেয়েছেন পিংলা বিধানসভার খড়গপুর দুই নম্বর ব্লকের বাসিন্দা অমিতকুমার রানা নামে এক যুবককে। আপাতত লক্ষ্য সামনের পঞ্চায়েত নির্বাচনে লড়াই করার। তারপর লোকসভা। এই ব্যাপারে খড়গপুর আইআইটির মেধাবী এই পড়ুয়ার বক্তব্য, “আমাদের স্লোগান উন্নয়নের পক্ষে। দুর্নীতির বিরুদ্ধে। ধর্মীয় উসকানি নয়, তোষণ নয়, ব্যাক্তিগত আক্রমণ নয়। শিক্ষা ও স্বাস্থ্যের উন্নতি ফেরানোর ডাক দিয়ে আপের লড়াই। এই দলে দুর্নীতির কোনও জায়গা নেই। আম আদমিদের দল আপ। আমাদের আহ্বান সর্বস্তরের মানুষ যুক্ত হন।”
[আরও পড়ুন: ‘মমতা থাকতে রাজ্য ভাগ হবে না, পুরোটাই পশ্চিমবঙ্গ’, জলপাইগুড়ি থেকে হুঙ্কার অভিষেকের]
আপাতত সামনের পঞ্চায়েত নির্বাচনকে পাখির চোখ করে এগোচ্ছে দল। সংগঠন তৈরির কাজ চলছে। সদস্য সংগ্রহের কাজ শুরু হয়েছে। জানালেন, এই দলের অন্যতম কার্যকর্তা অমিতকুমার রানা। তিনি বলেন, “আমরা চেষ্টা করব। জনমত যাচাই করার জন্য পঞ্চায়েত নির্বাচনে লড়ব। প্রার্থী দেওয়া হবে।” তবে কোনও জোটে না গিয়ে একাই আপ লড়বে বলে তিনি সাফ জানালেন। তিনি বললেন, “এই রাজ্যে জোট করার মত কেউ নেই। তৃণমূলের সঙ্গে আপের চিন্তাধারা সম্পূর্ণ আলাদা।”
তবে আপের এই তৎপরতাকে কোনও গুরুত্ব দিতে নারাজ তৃণমূল ও বিজেপি। তৃণমূলের জেলা চেয়ারম্যান অজিত মাইতি বলেছেন, “আম আদমি পার্টি বলে এখানে কিছু নেই। একটা দুটো পোস্টার দিয়ে দিলে আর দু একজন লোক থাকলে কী হয়ে যায়? আমরা এই নিয়ে কোনও চিন্তা করছি না।” অপরদিকে বিজেপির জেলা সভাপতি তাপস মিশ্র বলেছেন, “আপ এখানে কোনও প্রভাব ফেলতে পারবে না। তবে ওরা রাজনৈতিক কার্যক্রম করতেই পারেন। যদিও কোনও সুবিধা করতে পারবে না।”