অংশুপ্রতিম পাল, খড়গপুর: মায়ের সঙ্গে কথাকাটির জের। গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মঘাতী পশ্চিম মেদিনীপুরের সবং-এর এক ছাত্রী। ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়। দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে পুলিশ।
পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার সবং থানার কুণ্ডলপাল গ্রামের বাসিন্দা রূপালী হাঁসদা। বয়স ১৩ বছর। স্থানীয় কুণ্ডলপাল কিরণবালা বিদ্যামন্দিরের সপ্তম শ্রেণির ছাত্রী ছিল সে। পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার স্কুল থেকে বাড়ি ফিরে মাকে ভাত খাওয়ার কথা বলে ওই ছাত্রী। কিন্তু মা মুড়ি খেতে বলেন। তা নিয়ে মা-মেয়ের মধ্যে কথা কাটাকাটিও হয়। এর কিছুক্ষণ পর সন্ধেয় বাড়ি থেকে উদ্ধার হয় ছাত্রীর ঝুলন্ত দেহ।
[আরও পড়ুন: ঝালদার বোর্ড মিটিংয়ে গরহাজির দল বদলানো পুরপ্রধান-সহ ৪ কাউন্সিলর, জল্পনা তুঙ্গে]
তড়িঘড়ি স্থানীয়দের প্রচেষ্টায় নাবালিকাকে উদ্ধার করে সবং গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে সেখানে কর্মরত চিকিৎসকরা তাকে মৃত বলে ঘোষণা করে। এদিকে এই ঘটনার খবর পেয়ে সবং থানার পুলিশ মৃতদেহ উদ্ধার করে। আজ অর্থাৎ শুক্রবার মৃতদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য খড়গপুর মহকুমা হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে,ওই ছাত্রী স্কুল থেকে বাড়ি ফেরার পর খাওয়া নিয়ে কথা কাটাকাটি শুরু হয়। সেই অভিমানেই গলায় ফাঁস নিয়ে আত্মঘাতী হয়েছে ওই ছাত্রী। এই ঘটনায় পুলিশ একটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করেছে।