shono
Advertisement

২৬/১১ হামলায় স্ত্রী ও দুই ছেলেকে হারান, রাষ্ট্রসংঘে বিচারের দাবি হোটেল তাজের ম্যানেজারের

মুম্বই হামলার চক্রান্তকারীরা আজও মুক্ত বাতাসে শ্বাস নিচ্ছে, বললেন তাজের ম্যানেজার।
Posted: 05:28 PM Sep 10, 2022Updated: 11:18 PM Sep 10, 2022

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: তিনি করমবীর কাং। মুম্বইয়ে (Mumbai) ২৬/১১ হামলায় স্ত্রী ও দুই ছেলেকে হারান। শুক্রবার নিউ ইয়র্কে (New York) রাষ্ট্রসংঘের (UN) সন্ত্রাসের শিকার হওয়া ব্যক্তিদের সম্মেলনে বললেন, সেদিন যারা হামলা চালিয়েছিল ভাগ্য তাদের শিক্ষা দিয়েছে, কিন্তু যাঁরা নৃশংস ওই চক্রান্ত করেছিল, অর্থ যুগিয়েছিল, তারা জেলের বাইরে মুক্ত বাতাসে শ্বাস নিচ্ছে! ঘটনার ১৪ বছর পর ২৬/১১ হামলায় ন্যায়বিচারের দাবি তুললেন করমবীর। তাঁর মতে সেই বিচার মিলতে পারে তখনই, যখন আর একটিও জঙ্গি হামলার মুখোমুখি হতে হবে না সভ্যতাকে।

Advertisement

২০০৮ সালের ২৬ নভেম্বরের হামলার সময় মুম্বই তাজের জেনারেল ম্যানেজার ছিলেন করমবীর সিং। হামলায় তাঁর সহকর্মী, হোটেল গ্রাহক-সহ ৩৪ জনের মৃত্যু হয়। এর মধ্যে ছিল করমবীরের স্ত্রী ও দুই ছেলে। তারা সেদিন নৃশংস জঙ্গিদের নাগাল এড়িয়ে পালাতে পারেনি। করমবীর বলেন, “আমি সবকিছু হরিয়েছিলাম… সাহসী সহকর্মীদেরও হারাই। যাঁদের সাহসিকতার জন্য হোটেলের কয়েক হাজার মানুষের প্রাণ বেঁচে যায়।”

[আরও পড়ুন: এবার খাবার প্রতি ক্যালোরির পরিমাণ লিখতেই হবে রেস্তরাঁর মেনু কার্ডে, নির্দেশিকা কেন্দ্রের]

আন্তর্জাতিক মঞ্চে নিজের ভাষণে সন্ত্রাসবাদী হামলায় বিপর্যস্ত ব্যক্তি ও পরিবারের পক্ষে আবেদন জানান করমবীর। তাঁর মতে, দোষীদের উপযুক্ত শাস্তি দিতে একজোট হয়ে কাজ করতে হবে। সেদিনের ভুক্তভোগীরা ১৪ বছর ধরে বিচারের আশায় দিন গুনছেন। বলেন, “সেদিন যারা হামলা চালিয়েছিল ভাগ্য তাদের শিক্ষা দিয়েছে, কিন্তু যাঁরা নৃশংস ওই হামলার পরিকল্পনা করেছিল, তার জন্য অর্থ যুগিয়েছিল, তারা কিন্তু মুক্তবাতাসে শ্বাস নিচ্ছে। আজ আমি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে আবেদন জানাচ্ছি, ন্যায়বিচার দিতে একসঙ্গে কাজ করুন।” করমবীর আরও বলেন, “আমাদের নিশ্চিত করতে হবে, জঙ্গিদের জন্য যেন পৃথিবীর কোনও স্থান সুরক্ষিত না হয়। যাতে করে নৃশংস অপরাধের চক্রান্ত করা সম্ভব না হয়।”

[আরও পড়ুন: ‘রাস্তার কুকুর কামড়ালে, যাঁরা খেতে দেন দায় নিতে হবে তাঁদের’, প্রস্তাব সুপ্রিম কোর্টের]

প্রসঙ্গত, ২০০৮ সালের ২৬ নভেম্বর পাক সন্ত্রাসবাদীদের হামলায় কেঁপে উঠেছিল বাণিজ্যনগরী মুম্বই। ১০ জন লস্কর জঙ্গি করাচি থেকে সমুদ্রপথে মুম্বইয়ে প্রবেশ করেছিল। ওই জঙ্গিরা তাজ হোটেল, হাসপাতাল, রেল স্টেশন, রেঁস্তরায় হামলা চালায়। নিরাপত্তারক্ষীদের গুলিতে মৃত্যু হয় অধিকাংশ জঙ্গির। জীবিত অবস্থায় গ্রেপ্তার করা হয় আজমল কাসব নামের এক জঙ্গিকে। বেশ কয়েক বছর পরে দোষী সাব্যস্ত কাসবকে ফাঁসি দেওয়া হয়।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement