shono
Advertisement

ভালবাসাই ঈশ্বর…, ‘জাত-ধর্মহীন শংসাপত্র’পেল সাড়ে তিন বছরের খুদে

জাত-ধর্ম না লেখায় স্কুলে ভরতি আটকায়, এরপরেই শংসাপত্রের আবেদন করেন খুদের বাবা-মা।
Posted: 06:11 PM May 30, 2022Updated: 06:24 PM May 30, 2022

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: স্কুল হোক বা চাকরি কিংবা নাগরিক পরিচয়পত্র, সবখানে ব্যক্তির জাত ও ধর্মের উল্লেখ করতে হয়। এমনটাই নিয়ম। সেই কারণেই সাড়ে তিন বছরের ভিলমার স্কুলে ভরতি আটকে যাচ্ছিল বারবার। কারণ তার বাবা-মা নরেশ কার্তিক ও গায়েত্রী জেদ ধরেছিলেন, সন্তানের জাত-ধর্ম পরিচয় উল্লেখ করবেন না স্কুলে ভরতির ফর্মে। অবশেষে সেই লড়াই জিততে চলেছেন তাঁরা। কারণ এতদিনে শিশু ভিলমার সরকারি ‘জাত-ধর্মহীন শংসাপত্র’ (No Religion, No Caste Certificate) হাতে পেয়েছেন তাঁরা।

Advertisement

নরেশ কার্তিক তামিলনাড়ুর (Tamil Nadu) একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার প্রতিষ্ঠাতা। প্রথম থেকে তিনি ভেবে রেখেছিলেন তাঁর সন্তানের কোনও জাত বা ধর্ম পরিচয় থাকবে না। স্ত্রী গায়েত্রীও এই বিষয়ে একমত। কিন্তু এই কারণেই ভিলমার স্কুলে ভরতি হওয়া নিয়ে বিস্তর ঝামেলা হয়। কারণ প্রায় সব স্কুলের ভরতির ফর্মে পড়ুয়ার ধর্ম ও জাত উল্লেখ করা বাধ্যতামূলক। নরেশ জানান, স্কুলগুলি বলে, ধর্ম ও জাত উল্লেখ করতে হবে, নচেত ভরতি নেওয়া যাবে না। যদিও ১৯৭৩ সালের তামিলনাড়ু সরকারের একটি নির্দেশিকায় বলা হয়েছিল, স্কুলে ভরতির ক্ষেত্রে জাত-ধর্ম উল্লেখ করা বাধ্যতামূলক নয়। 

[আরও পড়ুন: UPSC-তে মেয়েদের জয়জয়কার, শীর্ষে জেএনইউর প্রাক্তনী]

১৯৭৩-এর পর ২০০০ সালে রাজ্য সরকার স্কুল শিক্ষা পর্ষদের পরিচালককে একটি নির্দশিকা পাঠায়। সেখানে বলা হয়- ভরতির ফর্মে ‘জাত-ধর্মহীন’ উল্লেখ করা যাবে, ধর্ম ও জাতের কলামে কিছু নাও লিখতে পারেন অভিভাবক। এই নির্দেশিকার কথা জানা ছিল না নরেশ-গায়েত্রীর। তাঁরা কোয়াম্বাটুরের ডিস্ট্রিক্ট কলেক্টরের মাধ্যমে মেয়ের জন্য জাত-ধর্মহীন শংসাপত্রের আবদেন করেন। তবে তহশিলদার অফিস থেকে তাঁদের বলা হয়- এর ফলে জাত-ধর্ম সম্পর্কিত সরকারি সুবিধাগুলি থেকে বঞ্চিত হবেন তাঁরা। তাতে অসুবিধা নেই জানার পরেই ভিলমার জাত-ধর্মহীন শংসাপত্র হাতে পান তাঁর বাবা-মা।

নরেশ বলেন, “আমাদের সন্তানের কাছে ঈশ্বর মানে ভালবাসা, আর ভালবাসা মানে সাম্য, সকলের অধিকার। পড়ুয়াদের ভালবাসা আর সমতার শিক্ষা দেওয়া উচিত স্কুলগুলির।” নরেশ আরও বলেন, “অনেকেই জানেন না যে জাত-ধর্মহীন শংসাপত্র পাওয়া যায়। আশা করি অন্য অভিভাবকরাও এবার এই শংসাপত্র গ্রহণ করবেন। যারা আমার মতো গভীর ভাবে বিশ্বাস করেন- ঈশ্বর আসলে ভালবাসা।” 

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement