সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: অবশেষে কাটল জট। বিশ্বায়নের অর্থনীতির মুখ প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ড. মনমোহন সিংয়ের স্মৃতিসৌধকে টানাপোড়েন (Manmohan Singh Memorial Conflict) শেষ করতে শুক্রবার মধ্যরাতেই সবুজ সংকেত দিল কেন্দ্র। কংগ্রেস ও বিজেপির মধ্যে বাকযুদ্ধ চলার পর মোদি সরকার জানিয়ে দিল, মনমোহনের স্মৃতিসৌধ তৈরির জন্য জায়গা দেওয়া হবে। তবে সেজন্য কিছুটা সময় লাগবে। আগে মনমোহনের শেষকৃত্য সম্পন্ন করে তারপর তা নিয়ে পাকাপাকি সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলেই জানানো হয়েছে।
শুক্রবার সকালেই মল্লিকার্জুন খাড়গে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে চিঠি দিয়ে শেষকৃত্যর স্থলেই স্মৃতিসৌধর জমি চান। একই আবেদন যায় মনমোহনের পরিবারের তরফে। কিন্তু শুক্রবার সন্ধ্যায় বিজেপির প্রাক্তন বন্ধু দল শিরোমনি আকালি দলের নেতা সুখবীর সিং বাদল সমাজমাধ্যমে পোস্ট করে জানান, সৌধর জমির জন্য মনমোহনের পরিবারের অনুরোধ কেন্দ্রের প্রত্যাখ্যান করা খুবই নিন্দনীয়।
বস্তুত, ২০১৫ সালেই মোদি সরকার আইন করে জানিয়ে দেয় রাজঘাটে কাউকে আলাদা করে স্মৃতিসৌধর জমি দেওয়া হবে না। বাদলের পোস্টের পরই কংগ্রেসের একাধিক সাংসদ ও নেতা সমাজমাধ্যমে পোস্ট করে লেখেন, মনমোহন হলেন প্রথম শিখ প্রধানমন্ত্রী। তাঁর শেষকৃত্যের স্থানে সৌধ নির্মাণের অনুমতি না দিলে অপমান করা হবে শিখ সমাজকেই।
রাত নটার পর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক জানায়, নিগমবোধ ঘাটে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় মনমোহনের শেষকৃত্য হবে। কেন রাজঘাট থেকে শেষকৃত্য নিগমবোধ ঘাটে গেল তা নিয়েও প্রশ্ন ওঠে। এদিকে পদ্ম শিবিরের তরফে পালটা দিয়ে বলা হয়, প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী নরসিমা রাওয়ের জন্য স্মৃতিসৌধ তৈরি করতে ব্যর্থ কংগ্রেস। তবে গভীর রাতে এক বিবৃতিতে কেন্দ্র জানিয়ে দেয়, একটি বৈঠকের পর ক্যাবিনেট স্থির করেছে মনমোহন সিংয়ের স্মৃতিতে এক সৌধ প্রস্তুত করা হবে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহর তরফে তা জানিয়েও দেওয়া হয় খাড়গেকে।