সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ১১ দিন হয়ে গেল ভোপালের (Bhopal) নামী ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ ক্যাম্পাসে ঘাপটি মেরে রয়েছে বাঘ (Tiger)। ঘটনায় আতঙ্কের পরিবেশ শহরের মৌলানা আজাদ ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজি (Maulana Azad National Institute of Technology) ক্যাম্পাসে। ক্লাস করা মাথায় উঠেছে পড়ুয়া ও শিক্ষকদের। শিক্ষাকর্মীরাও ভয়ে কাঁটা। ঘরের বাইরে বেরনোর সাহস করছেন না কেউ। এদিকে বনদপ্তর চেষ্টা চালালেও বাঘটি ক্যাম্পাসের ঠিক কোথায় ঘাঁটি গেড়েছে, তা এখনও বোঝা যায়নি। যদিও এর জন্য অতিরিক্ত সিসি ক্যামেরা (CCTV) বসানো হয়েছে। তথাপি বাঘের গতিবিধি নিয়ে ধন্দ থেকে যাচ্ছে।
১১ দিন আগে বাঘের অস্তিত্ব ধরা পড়ে কলেজেরই একটি সিসি ক্যামেরায়। এরপরেই বদলে যায় ক্যাম্পাসের আবহাওয়া। বাঘের ভয়ে অনলাইন ক্লাস শুরু হয়। তবে ক্যাম্পাসে কেউই এখনও পর্যন্ত বাঘটিকে চোখে দেখেনি। তবে বাঘের পায়ের চিহ্ন দেখা গিয়েছে। আরও জানা গিয়েছে, সম্প্রতি বিরাট কলেজ ক্যাম্পাসের মধ্যেই দু’টি গরুর উপর হামলা চালিয়েছে বাঘটি।
[আরও পড়ুন: কংগ্রেস সভাপতি নির্বাচনে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ শশীর, পরিস্থিতি সামলাতে সুর নরম খাড়গের]
এদিকে জানা গিয়েছে, বর্তমান পরিস্থিতিতে ৫৪০০ জন স্নাতক পড়ুয়াকে ১১ অক্টোবর থেকে ৩০ অক্টোবর পর্যন্ত ছুটি দেওয়া হয়েছে। অন্যদিকে স্নাতকোত্তর ৬০০ পড়ুয়ার ক্লাস চলছে অনলাইনে। এই বিষয়ে ভোপালের বন দপ্তরের এক আধিকারিক অলোক পাঠক বলেন, “১১ দিন হয়ে গেল বাঘটি ক্যাম্পাস চত্বরে রয়েছে। বাঘ সাধারণত সাত-আট দিন বাদে জায়গা বদল করে। এদিনও আমরা ক্যাম্পাসে বাঘের পায়ের ছাপ পেয়েছি।” অলোক জানান, বাঘটির গতিবিধি বুঝতে কলেজের সিসিটিভি ছাড়াও অতিরিক্ত ১০টি ক্যামেরা বসানো হয়েছে। আরও পাঁচটি ক্যামেরা বাসনো হবে।
[আরও পড়ুন: ভিনরাজ্যে মাফিয়াকে ধরতে গিয়ে বিজেপি নেতার স্ত্রীকে ‘খুন’, অস্বস্তিতে যোগীর পুলিশ]
উল্লেখ্য, রাতাপানি অভয়ারণ্যটি (Ratapani Wildlife Sanctuary) ভোপাল শহরের কাছে রাইসেন থেকে সেহোর জেলা পর্যন্ত বিস্তৃত। বাঘ মাঝেমাঝে রাজধানীর কেরওয়া এলাকায় চলে আসে। এবার একটি বাঘ (বন দপ্তরের ভাষায় T-123-4) মৌলানা আজাদ ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজিতে ঢুকে পড়েছে। বন্ধ হয়ে গিয়েছে নামী শিক্ষাকেন্দ্রের স্বাভাবিক কাজকর্ম। কবে স্বাভাবিক পরিবেশ ফিরবে বলতে পারছেন না বন দপ্তরের কর্মীরাও।