ভাস্কর মুখোপাধ্যায়, বোলপুর: অনুব্রতর গড় বীরভূমে (Birbhum) আক্রান্ত তৃণমূলের পঞ্চায়েত প্রধান। তাঁকে মারধরের পাশাপাশি বাইকে ভাঙচুর চালানো হয় বলেও অভিযোগ। ঘটনার নেপথ্যে বিজেপি রয়েছে বলেই দাবি শাসকদলের। ঘটনার পর দীর্ঘক্ষণ পেরিয়ে গেলেও এখনও উত্তপ্ত এলাকা।
বীরভূমের নানুরের জলুন্দি বনগ্রামের বাসিন্দা পঞ্চায়েত প্রধান তপন ঘোষ। তাঁর অভিযোগ, বুধবার তাঁর ভাইপোর সামনে তৃণমূলের পতাকা ছেঁড়ে বেশ কয়েকজন বিজেপি কর্মী। স্বাভাবিকভাবেই প্রতিবাদ করেন ওই যুবক। সেই সময় মারধর করে তাঁর মাথা ফাটিয়ে দেয় অভিযুক্ত বিজেপি কর্মীরা। বিষয়টি জানার পর ঘটনাস্থলে যান তপনবাবু। অভিযোগ, প্রতিবাদ করতেই তাঁকে হেনস্তা করা হয়। মারধরের পাশাপাশি দীর্ঘক্ষণ আটকে রাখা হয় তাঁকে। পরে খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তাঁকে উদ্ধার করে। তাঁর অভিযোগ, শাসকদলের সৈনিক হওয়ার কারণেই এই হামলা।
[আরও পড়ুন: বৈঠকে মেলেনি আমন্ত্রণ, আচমকা উপস্থিত হয়ে অভিমানে কান্নায় ভেঙে পড়লেন তৃণমূল নেত্রী]
যদিও অভিযোগ ভিত্তিহীন বলেই দবি বিজেপির। তাঁদের পালটা অভিযোগ, তপনবাবু গ্রামে ঢুকে সবাইকে হুমকি দিচ্ছিলেন। বলছিলেন, ওই গ্রামে থেকে বিজেপি (BJP) করা যাবে না। পাশাাপাশি এলাকার মহিলাদের সঙ্গে অশালীন আচরণ করেন তিনি। তাতেই খেপে যান স্থানীয়রা। তপনবাবুর বাইকে ভাঙচুর করেন। এতে বিজেপির কোনও ভূমিকা নেই। যদিও বিজেপির অভিযোগ মিথ্যে বলেই দাবি তপনবাবুর। এপ্রসঙ্গে এক তৃণমূল নেতা বলেন, বীরভূমে অশান্তি ছড়ানোর চেষ্টা করছে বিজেপি। এদিনের ঘটনার জেরে এখনও আতঙ্কে এলাকার বাসিন্দারা। উল্লেখ্য, নির্বাচন যতই এগিয়ে আসছে রাজ্যের বিভিন্নপ্রান্ত থেকে অশান্তির খবর প্রকাশ্যে আসছে। কোথাও তৃণমূলের নেতা-কর্মীদের উপর হামলার অভিযোগ উঠছে বিজেপির বিরুদ্ধে। আবারও কোথাও বিজেপি কর্মীদের আক্রমণে নাম জড়াচ্ছে তৃণমূলের। চলতি মাসের শুরুতে বীরভূমেরই এক তৃণমূল কর্মীকে গুলি করে খুনের অভিযোগ উঠেছে বিজেপির বিরুদ্ধে।