সুমিত বিশ্বাস, পুরুলিয়া: ঝালদার (Jhalda Councillor Murder ) কাউন্সিলর খুনের ঘটনায় এবার গ্রেপ্তার হল ভাইপো দীপক কান্দু। পুরভোটে এই যুবককে হারিয়েই এবারের কাউন্সিলর হয়েছিলেন মৃত তপন কান্দু। দীর্ঘদিন ধরেই ভাইপোর পরিবারের সঙ্গে অশান্তি ছিল মৃত কাউন্সিলরের। তবে কি সত্যিই রাজনৈতিক আর পারিবারিক শত্রুতার জোড়া ফলায় মৃত্যু হল তপন কান্দুর? ক্রমশ জোরাল হচ্ছে সেই প্রশ্ন।
ঝালদার কংগ্রেস কাউন্সিলর খুনের ঘটনায় তোলপাড় গোটা বাংলা। এবার পুলিশের জালে ভাইপো দীপক কান্দু। গতকাল অর্থাৎ মঙ্গলবার তাকে আটক করেছিল পুলিশ। এই ঘটনায় প্রকাশ্যে এসেছে বেশ কিছু চাঞ্চল্যকর তথ্য। জানা গিয়েছে, মৃত তপন কান্দুর পরিবারের সঙ্গে সদভাব ছিল না দাদা-ভাইদের। ফলত ভাইপোদের সঙ্গেও বনিবনা হত না। ধৃত দীপক কান্দু মৃতের সেজদাদার ছেলে। ২০১৫ সালে দীপকের পরিবার কংগ্রেসের সক্রিয় কর্মী ছিলেন। এদিকে তপন ছিলেন ফরওয়ার্ড ব্লকের সমর্থক। দীপকের মা বাবি কান্দু হারিয়েছিলেন তপনের স্ত্রীকে। পরবর্তীতে দল পরিবর্তন করে দুই পরিবার।
[আরও পড়ুন: লাগাতার ছাত্র বিক্ষোভ, প্রশাসনিক চাপের মুখে পদত্যাগ করলেন বিশ্বভারতীর রেজিস্ট্রার]
চলতি বছরে পুরভোটে ঝালদার ২ নম্বর ওয়ার্ড থেকে কংগ্রেসের হয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন তপন কান্দু। তৃণমূলের হয়ে তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন ভাইপো দীপক। হেরেও যান। ফলত এই গ্রেপ্তারি রাজনৈতিক আর পারিবারিক শত্রুতার জোড়া ফলায় তপন কান্দুর মৃত্যুর সম্ভাবনা আরও জোরালো করেছে। এ বিষয়ে পুরুলিয়ার পুলিশ সুপার এস. সেলভামুরুগন বলেন, “এই ঘটনায় সুনির্দিষ্ট মামলা রুজু করা হয়েছে। দীপক কান্দু নামে একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।”
জানা গিয়েছে, খুনের মামলা রুজু করে জেলা পুলিশ একটি স্পেশ্যাল ইনভেস্টিগেশন টিম (সিট) গঠন করেছে। যার তত্ত্বাবধানে পুরুলিয়ার এডিশনাল এসপি (অপারেশন) চিন্ময় মিত্তলকে রাখা হয়েছে। প্রসঙ্গত, ১৩ ই মার্চ ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার হওয়া গুলির খোল ও ম্যাগাজিন ফরেনসিক পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে। আগামিকালকে ধৃতকে পুরুলিয়া আদালতে তোলা হবে।