শান্তনু কর, জলপাইগুড়ি: এবার পিকের বিরুদ্ধে একরাশ ক্ষোভ উগরে দিলেন শুভেন্দু অধিকারী ঘনিষ্ঠ জলপাইগুড়ির (Jalpaiguri) এক তৃণমূল নেতা। বললেন, “বেসরকারি সংস্থা অত্যাধিক গুরুত্ব পাওয়ায় দলের নেতা-কর্মীরা অপমানিত বোধ করছেন।” তাঁর মন্তব্যে শুরু জল্পনা।
তৃণমূলের (TMC) ভোটকৌশলী প্রশান্ত কিশোরকে নিয়ে দলের একাধিক নেতারই ক্ষোভ রয়েছে। ইতিমধ্যেই অনেকেই বিষয়টি নিয়ে প্রকাশ্যে মন্তব্যও করেছেন। সেই তালিকায় নতুন সংযোজন শুভেন্দু ঘনিষ্ট জলপাইগুড়ি জেলা কমিটির যুগ্ম সম্পাদক বুবাই কর। মুখ্যমন্ত্রী ও শুভেন্দু অধিকারীর সমর্থনে সুর চড়িয়ে আক্রমণ করলেন পিকেকে। বললেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, শুভেন্দু অধিকারীর কোনও বিকল্প নেই বাংলায়। অথচ এখন বেসরকারি সংস্থার কর্মীরা এসে তৃণমূল নেতা-কর্মীদের কাজের হিসেব চাইছেন। কাজ শেখাচ্ছেন।এতে অসম্মানিত বোধ করছেন দলের নেতা-কর্মীরা।” বুবাই করের এই মন্তব্য স্বাভাবিকভাবেই অস্বস্তি বাড়িয়েছে জেলা তৃণমূল নেতৃত্বের। যদিও এই মন্তব্য ব্যাক্তিগত বলেই দাবি তাঁদের।
[আরও পড়ুন: ভুয়ো পরিচয় দিয়ে বিয়ে, ঘনিষ্ঠ মুহূর্তের ভিডিও ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি, পুলিশের দ্বারস্থ বধূ]
তৃণমূলের নেতাদের মধ্যেকার এই দ্বন্দ্বকে কাজে লাগানোর মরিয়া চেষ্টা শুরু করেছে বিজেপি। সোশ্যাল মিডিয়ায় নানাভাবে আক্রমণ করছে নেতা-কর্মীদের। উল্লেখ্য, মিহির গোস্বামীর পর কিছুদিন আগে হরিহরপাড়ার বিধায়ক ক্ষোভ প্রকাশ করেন পিকের বিরুদ্ধে। বলেন, “তাবড় তাবড় রাজনৈতিক বীরেরা থাকতে, আজকে পিকের কাছে আমাদের রাজনীতি শিখতে হবে? পিকে কী রাজনৈতিক নেতা? তৃণমূল কংগ্রেসের কোন দায়িত্বে রয়েছেন তিনি? তিনি কি রাজ্যের কোনও নেতা? আমরা জানি না এখনও। পিকে নেতৃত্ব দিচ্ছে, আমি মেনে নিলাম। কিন্তু দলের কোন নেতা কোন পর্যায়ে আছেন? আজকে আমাদেরকে ব্যবহার করছে। এই সিস্টেম এলই বা কোথা থেকে? পিকে-কে কারা ব্যবহার করছে, আমি জানি না।”