দেবব্রত মণ্ডল, বারুইপুর: ফের কুসংস্কারের বলি শিশু। এবার পুকুরে পড়ে যাওয়া শিশুকে বাঁচাতে জলে নেমে চলল ঝাড়ফুঁক। শেষে হাসপাতালে নিয়ে গেলেও শেষরক্ষা হল না। মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ল শিশু। কিন্তু কাছেই ছিল হাসপাতাল। একবিংশ শতাব্দীতেও এই ঘটনার সাক্ষী হল দক্ষিণ ২৪ পরগনার কুলতলি (Kultali)।
বৃহস্পতিবার সন্ধেয় ঘটনাটি ঘটে দক্ষিণ ২৪ পরগনা কুলতলি থানার জামতলা এলাকায়। পুলিশ সূত্রে খবর, খেলতে খেলতে একটি শিশু পুকুরে পড়ে যায়। নজরে পড়তেই তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পরিবর্তে পুকুরের মধ্যেই লাঠি দিয়ে জল পিটিয়ে চলে ঝাড়ফুঁক! পুকুরে লাঠি পেটিয়ে জল দৈত্যকে পুকুর ছাড়া করার চেষ্টা করে গুনিন। পুকুরের পাড়ে জালানো হয় আগুন। প্রায় ঘণ্টা দুয়েক ধরে চলে ভূত ছাড়ানোর কাজ! শেষে অবস্থা বেগতিক বুঝে খুদেকে নিয়ে যাওয়া হয় হাসপাতালে। ততক্ষণে মৃত্যু হয়েছে তার
[আরও পড়ুন: রেলগেট বন্ধের প্রতিবাদে গেদে-রানাঘাট শাখায় অবরোধ মতুয়াদের, চূড়ান্ত ভোগান্তির শিকার নিত্যযাত্রীরা]
এ বিষয়ে কুলতলি হাসপাতালের স্বাস্থ্য কর্মী সুপর্ণা কণ্ঠি বলেন, “এলাকায় শিশুরা জলে পড়ে গেলে তাদের হাসপাতালমুখী করানোর জন্য বিভিন্নভবে প্রচার চালানো হয়েছে। কিন্তু তাতে গুরুত্ব না দিয়ে মানুষ এখনও ওঝা-গুণিনের উপরেই নির্ভর করছে। যার ফলে দুর্ঘটনা ঘটছে।”
অন্যদিকে শিশুটিকে সময়মতো হাসপাতালে নিয়ে গেলে বাঁচানো সম্ভব হতো বলেই মত চিকিৎসকদের। কারণ, এক্ষেত্রে পেট থেকে জল বের করাই প্রথম কাজ। যা হাসপাতালেই সম্ভব। এই বিষয়ে কুলতলি ব্লক হাসপাতালে বি এম ও এইচ চিকিৎসক চিত্রলেখা সরদার বলেন, “ঠিক সময়ে বাচ্চাটিকে হাসপাতালে আনলে এই দুর্ঘটনাটি ঘটত না। একাধিক স্বাস্থ্যকর্মী বাচ্চাটিকে হাসপাতালে আনার জন্য এলাকার মানুষের কাছে আবেদন জানিয়েছিল। কেউ প্রথমে তা শোনেননি।