সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বয়স জানান দিচ্ছে, সে শৈশব পেড়িয়ে সবে কৈশোরের দোরগোড়ায় পা দিয়েছে৷ মন তখনও শৈশবের সঙ্গে আড়ি করেনি৷ তবে শরীর বলছে অন্য কথা৷ মেয়ে আমার বড় যে হয়ে গিয়েছে৷ শরীরের কথা মেয়ের মন না মানলেও তাকে তার পরিবারই তা জোর করে বুঝিয়ে দেওয়ার দায়িত্ব নেয়৷ আর তাই ‘চারি প্রথা’-র আয়োজন৷ সহজ কথায় বললে বলতে হয়, মেয়েকে দেহব্যবসায় নামিয়েই তার পরিবার তাকে তার বড় হওয়ার কথা জানিয়ে দেয়৷ স্পষ্ট করে বললে শুনতে খারাপ লাগবে৷ তাই ঘটা করে নাম দেওয়া হয়েছে ‘চারি প্রথা’৷ তবে রাজস্থানের বুন্দি জেলায় কানজার সম্প্রদায়ের মধ্যে এই রীতি দীর্ঘদিনের৷
বিভিন্ন সময়ে মেয়েকে বন্ধক রাখার বদলে পরিবার যা পায় তা হয়ত বা তাদের কাছে মেয়ের থেকেও বেশি মূল্যবান৷ মেয়ের কুমারীত্ব খোয়ানোর বদলে পরিবার পায় লক্ষাধিক টাকা৷ তবে অবশ্য গ্রামের মাতব্বরদের কাছে এক্ষেত্র মেয়ের পরিবার নেহাতই অসহায়৷ মেয়েকে চারিপ্রথায় না পাঠালে গ্রামের ৫ মাথা মোটা টাকা জরিমানা করে৷ তাই উপায় যে নেই৷
তবে সম্প্রতি এই প্রথাকে বন্ধ করতে উদ্যোগ নিয়েছে জেলার স্বাক্ষরতা সেল ও অ্যান্টি হিউম্যান ট্রাফিকিং সেল৷ এই চারি প্রথার বিরুদ্ধে মানুষকে সচেতন করতে তৈরি হয়েছে ১৫০ জনের একটি দল৷ এরা মূলত বুন্দি জেলার রামনগর, শংঙ্করপুরা ও মোহনপুর-র মত কানজার অধ্যুষিত গ্রামে এই কঠিন প্রথার বিরুদ্ধে প্রচার চালাবে৷
The post পুরনো রীতি থেকেই মেয়েদের দেহব্যবসায় নামায় এই সম্প্রদায় appeared first on Sangbad Pratidin.