শংকরকুমার রায়, রায়গঞ্জ: মাকে খুন করে মাটিতে দেহ পুঁতে রেখেও শেষরক্ষা হল না। অবশেষে পুলিশের জালে ছেলে-সহ চারজন। খুনের আট মাস পর দেহ উদ্ধার করল পুলিশ। ঘটনাকে কেন্দ্র করে তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে উত্তর দিনাজপুরের রায়গঞ্জে (Raiganj) এলাকায়।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, রায়গঞ্জের কলোনিপাড়ার অজয় বর্মনের দ্বিতীয় পক্ষের স্ত্রী ছিলেন মৃত অর্চনাদেবী। গত বছর বিধানসভা নির্বাচনের পর একটি মামলায় বন্দি থাকাকালীন জেলেই মৃত্যু হয় অজয় বর্মনের। এরপরেই হঠাৎই ওই বধূ উধাও হয়ে যান। কর্ণজোড়া পুলিশ ফাঁড়িতে নিখোঁজ অভিযোগও করা হয়। সেই সময় তদন্তে নেমে মৃতার সৎ ছেলে গোপাল বর্মনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তবে উপযুক্ত প্রমাণ না মেলায় ধৃতকে জামিনে মুক্ত করা হয়।
[আরও পড়ুন: শুভেন্দু-সহ ৭ বিধায়কের সাসপেনশন মামলার সুরাহা হোক বিধানসভার বিধি মেনেই, পরামর্শ হাই কোর্টের]
সপ্তাহ খানেক আগে স্থানীয় তৃণমূল নেত্রী অর্চনাদেবীর নিখোঁজ হয়ে যাওয়ার বিষয়টি জানতে পারেন। তাঁর নেতৃত্বে বুধবার রাতে দীর্ঘক্ষণ স্থানীয় নালার মাটি খনন করতেই উদ্ধার হয় বধূর দেহাংশ। এরপরই প্রত্যক্ষদর্শীদের অভিযোগের ভিত্তিতে মৃতার সৎ ছেলে গোপাল বর্মন-সহ আরও তিনজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
রায়গঞ্জ পুলিশ সুপার সানা আখতার বলেন, “এক মহিলা খুনের ঘটনার অভিযোগে ধৃত চারজনের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু হয়েছে। যদিও আগেও সৎ ছেলেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। কিন্তু প্রমাণের অভাবে প্রথমে জামিন পেয়ে যায় ওই যুবক। কিন্তু ফের খুনের অভিযোগে গ্রেপ্তার করে তদন্ত শুরু করা হয়েছে।” এদিন ধৃতদের রায়গঞ্জ জেলা আদালতে তোলা হয়। উদ্ধার দেহ ময়নাতদন্তের জন্য রায়গঞ্জ মেডিক্যাল হাসপাতালের মর্গে পাঠায় পুলিশ।