জ্যোতি চক্রবর্তী, বনগাঁ: বউভাতের খাওয়াদাওয়ার পর্ব শেষ। নবদম্পতির ঘরে যাওয়ার আগেই ভয়ংকর কাণ্ড। নববধূর স্তন ছিঁড়ে নেওয়ার চেষ্টা স্বামীর প্রেমিকার। ঘটনাকে কেন্দ্র করে তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে গাইঘাটা (Gaighata) থানার কুলঝুটি এলাকায়। অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
গাইঘাটার কুলঝুটির বাসিন্দা বরুন মণ্ডল। সোমবার দক্ষিণ ২৪ পরগনার কোস্টাল থানা এলাকার বাসিন্দা এক তরুণীর সঙ্গে বিয়ে হয় তাঁর। বুধবার ছিল বউভাত। অনুষ্ঠান আত্মীয়-স্বজন, পাড়া-প্রতিবেশী সকলেই আসেন। চন্দনা সরকার নামে এক তরুণীও বউভাতে নিমন্ত্রিত ছিল। তাঁর দাবি, তিনি বরুণের প্রেমিকা। রাত ১ টা নাগাদ বৌভাতের খাওয়া-দাওয়া পর্ব শেষ হয়। ফুলসজ্জার নিয়মকান পালনের জন্য নবদম্পতিকে ঘরে নিয়ে যাওয়ার কথা পরিবারের সদস্যদের। ঠিক তার আগেই ঘটে অঘটন।
[আরও পড়ুন: ডিসেম্বরের শুরুতেই কার্যত উধাও শীত, কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গে বাড়ল তাপমাত্রা]
অভিযোগ, ঘরে ঢোকার আগে নববধূকে ডাকে চন্দনা। দাবি করে, বরুন অর্থাৎ তরুণীর স্বামীর সঙ্গে নাকি তার দীর্ঘদিনের প্রেমের সম্পর্ক। সাফ বলে, ফুলসজ্জা হবে না। এরপরই নববধূর উপর চন্দনা চড়াও হয় বলে অভিযোগ। হাতদিয়েই বধূর দুটি স্তন ছিঁড়ে ফেলার চেষ্টা করে। রক্তাক্ত অবস্থা হয় নববধূর। তাঁর আর্তনাদ শুনে ঘটনাস্থলে ছুটে যান পরিবারের সদস্যরা। রাতেই চন্দনার বিরুদ্ধে পুলিশের দ্বারস্থ হয় আক্রান্তের শ্বশুরবাড়ির সদস্যরা। গ্রেপ্তার করা হয়েছে অভিযুক্তকে।
কিন্তু কে এই চন্দনা? চন্দনা সরকার গাইঘাটার শিমুলিয়ার বাসিন্দা। তিনি বিবাহিত। চন্দনার দাবি বরুনের সঙ্গে বছর কয়েক ধরে প্রেমের সম্পর্ক ছিল তাঁর। সম্প্রতি প্রেমিকের বিয়ে ঠিক হতেই আপত্তি জানিয়েছিল সে। কিন্তু প্রেমিকার বারণ শোনেননি যুবক। বিয়ে করে নেন। যার জেরেই এই হামলা। তরুণীর কীর্তিতে হতবাক পুলিশ।