দেবব্রত মণ্ডল, বারুইপুর: খিদের জ্বালায় কাঁদছে সন্তান। কেঁদে উঠেছিল মায়ের মন। সংসারের খরচ থেকে টাকা সরিয়ে নিজের সন্তানকে দুধ কিনে দেন মা। কিন্তু শাশুড়ি-ননদের থেকে জোটে ‘চোর’ অপবাদ। আর তাই ‘শাস্তি’ দিতে বধূকে বিবস্ত্র করে বেধড়ক মারধর। নেড়াও করে দেওয়া হয় তাঁকে। মধ্যযুগীয় বর্বরতার সাক্ষী দক্ষিণ ২৪ পরগনার নামখানার নারায়ণপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের ২৫৫ নম্বর বুথের রাজরাজেশ্বরপুর এলাকা।
দক্ষিণ ২৪ পরগনার নামখানা নারায়ণপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের ২৫৫ নম্বর বুথের রাজরাজেশ্বরপুর এলাকার বাসিন্দা নির্যাতিতা। বেশ কয়েক বছর আগে বিয়ে হয় তাঁর। একরত্তি সন্তানের মা তিনি। শুক্রবার রাতে তাঁর শ্বশুরবাড়িতে কিছু টাকা লোপাট হয়ে যায়। তরুণীর শাশুড়ি ও ননদের দাবি, সন্তানের দুধ কেনার জন্য ওই টাকা চুরি করেছেন তিনি। নিছক সন্দেহের বশে বউমাকে চুরির অপবাদ দেয় তারা। অভিযোগ, নেড়া করা হয় তরুণীকে। বিবস্ত্র অবস্থায় বাড়ির মধ্যে বেঁধেও রাখা হয়। বেশ কিছুক্ষণ ধরে চলে নৃশংস অত্যাচার।
[আরও পড়ুন: ‘ভোটার তালিকায় নাম তুলুন রাজ্যে থাকা বাংলাদেশিরা’, বারাসতের তৃণমূল নেত্রীর মন্তব্যে বিতর্ক]
প্রতিবেশীরাই খবর দেয় পুলিশকে। খবর পাওয়ামাত্রই কাকদ্বীপ থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। নির্যাতিতাকে উদ্ধার করা হয়। আটক করা হয় তরুণীর শাশুড়ি ও ননদকে। প্রতিবেশীদের অভিযোগ, শুধু শুক্রবারই নয়। বিয়ের পর থেকেই ওই তরুণীর উপর চলত অকথ্য নির্যাতন। বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেওয়ার চক্রান্তেই অত্যাচার ক্রমশ বাড়তে থাকে বলেও অভিযোগ। দোষীদের কঠোরতম শাস্তির দাবি জানিয়েছেন প্রতিবেশীরা। নির্যাতিতার স্বামীর ভূমিকাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
দেখুন ভিডিও: