শান্তনু কর, জলপাইগুড়ি: বাবার মারে জেরে মৃত্যু হয়েছে তরুণীর। এই অভিযোগকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে জলপাইগুড়ি (Jalpaiguri) জেলার ধূপগুড়ির মল্লিকশোভা এলাকায়। মৃতার নাম ললিতা পাল (১৮)। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
ধূপগুড়ি ব্লকের মল্লিকশোভা এলাকার বাসিন্দা নিরঞ্জন পাল। জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই নিরঞ্জন পালের সঙ্গে তার স্ত্রী ও মেয়ের অশান্তি চলছিল। প্রতিবেশীরাও তা টের পান। বিকেলে বাড়িতে ছিলেন না নিরঞ্জনের ছেলে সুব্রত পাল। সন্ধেয় তিনি ফিরে ঘরে ঢুকতেই দেখতে পায় বিছানার উপর রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছে দিদি। এই দৃশ্য দেখেই কান্নাকাটি শুরু করে দেয় সুব্রত। কান্না শুনে ছুটে যায় সুব্রতর কাকিমা শিল্পী পাল ও সোমা পাল।
[আরও পড়ুন: হাওড়ায় ফিরল ওড়িশায় দুর্ঘটনায় মৃত পর্যটকদের দেহ, চোখের জলে প্রিয়জনদের শেষ বিদায়]
বিষয়টি জানাজানি হতেই প্রতিবেশীরাও ছুটে যান সেখানে। ততক্ষণে অভিযুক্ত নিরঞ্জন পাল ঘটনাস্থল থেকে পালিয়েছে। এরপর স্থানীয়রাই স্থানীয়রা ললিতাকে উদ্ধার করে ধূপগুড়ি গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
মৃতার ভাই সুব্রত পাল জানান, বাড়িতে মাঝেমধ্যেই ঝগড়া লেগে থাকত। তাঁর মাকে বিনা কারণে মারধর করত বাবা। সুব্রতর কথায়, “আমি যখন দিদিকে দেখি, তখন রক্তাক্ত অবস্থায় বিছানায় পড়ে রয়েছে। দিদিকে বাবা মেরেছে। আমি বাড়িতে ছিলাম না, তাই কী দিয়ে মেরেছে দেখিনি।” ইতিমধ্যেই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে ধূপগুড়ি থানার পুলিশ। অভিযুক্ত নিরঞ্জন পালের খোঁজ শুরু করেছে পুলিশ।