বাবুল হক, মালদহ: পিসির সঙ্গে বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক ছিল ভাইপোর। সেই সম্পর্কের টানাপোড়েনের কারণেই মৃত্যু হয়েছে যুবকের। এই অভিযোগে পিসির উপর চড়াও পরিবার ও প্রতিবেশীরা। শুক্রবার মহিলাকে বেধড়ক মারধর করে চুল কেটে নিল উত্তেজিত জনতা। ঘটনাকে কেন্দ্র করে তুমুল শোরগোল মালদহের (Malda) পুরাটুলিতে। ইংরেজবাজার থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে আয়ত্তে আনে পরিস্থিতি।
জানা গিয়েছে, মালদহের পুরাটুলির বাসিন্দা নির্যাতিতা মহিলা। স্থানীয়দের দাবি, বছর দুয়েক আগে নিজের ভাইপো টোটোন কর্মকারের সঙ্গে বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কে (Extra-Marital Affair) জড়িয়ে পড়েন তিনি। বিষয়টি বেশিদিন পরিবার-পরিজন ও প্রতিবেশীদের নজর এড়ায়নি। বিষয়টি জানাজানি হতেই স্বাভাবিকভাবেই প্রবল অশান্তি শুরু হয়। প্রেমের সম্পর্ককে পরিণতি দিতে টোটোন স্ত্রীর কাছে বিচ্ছেদ চায়।
[আরও পড়ুন: ধর্মীয় উসকানিমূলক মন্তব্যের অভিযোগ, এবার শুভেন্দু অধিকারীকে নোটিস তমলুক থানার]
এদিকে ওই মহিলাও জানিয়ে দেন তিনি আর স্বামীর সঙ্গে থাকবেন না। ফলে অশান্তি চরমে ওঠে। সালিশি সভাও বসে। যার জেরে মানসিক অবসাদে ভুগতে শুরু করেন টোটোন। এই টানাপোড়েনের মাঝেই দিন কয়েক আগে উদ্ধার হয় ওই যুবকের দেহ। ঘটনাকে কেন্দ্র করে স্বাভাবিকভাবেই এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়েছিল। তবে ঘটনার পর থেকেই এলাকা ছাড়া ছিলেন নির্যাতিতা মহিলা।
কয়েকদিন পেরিয়ে যাওয়ায় ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হয়েছিল এলাকার পরিস্থিতি। সেই সুযোগে শুক্রবার সকালে বাড়ি ফেরেন নির্যাতিতা। সেটাই কাল হল। এদিন বাড়ি ফিরতেই মৃত যুবকের স্ত্রী, পরিবারের সদস্য ও প্রতিবেশীরা মহিলাকে চেপে ধরেন। বেধড়ক মারধর করা হয় তাঁকে। কেটে দেওয়া হয় চুল। সেই অবস্থায় ঘোরানো হয় গ্রাম। খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে উদ্ধার করে মহিলাকে। মৃতের স্ত্রী দাবি করেছেন, তাঁর স্বামীকে সম্পর্কে থাকতে বাধ্য করতেন পিসি। যদিও আক্রান্ত মহিলার দাবি, ভাইপো টোটোন তাঁকে ভালবাসতেন। তাঁরা একসঙ্গে সংসার পাতার স্বপ্ন দেখেছিলেন।