শংকরকুমার রায়, রায়গঞ্জ: রাতের অন্ধকার রাস্তায় হোটেল ব্যবসায়ীর স্ত্রীকে পিটিয়ে খুন। বেশ কয়েকজন অজ্ঞাতপরিচয় দুষ্কৃতীর মারে তাঁর মৃত্যু হয়েছে বলেই দাবি নিহতের স্বামীর। ইসলামপুর (Islampur) থানার পুলিশ ঘটনার তদন্তে নেমেছে।
রবিবার গভীর রাতে উত্তর দিনাজপুরের ইসলামপুরের বিখ্যাত হোটেল ব্যবসায়ীর স্ত্রী তুলিকা পাল বাড়ি ফিরছিলেন। স্বামীর সঙ্গে বাইকে চড়ে বাড়ি ফিরছিলেন। অভিযোগ, বলেঞ্চা এলাকায় বেশ কয়েকজন দুষ্কৃতী তাঁদের পথ আটকায়। বাইক থামিয়ে দেন ব্যবসায়ী। তাঁর দাবি, কিছু বুঝে ওঠার আগেই বাঁশ দিয়ে বেধড়ক মারধর করা হয় মহিলাকে। ঘটনাস্থলেই রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে যান তিনি। চিৎকার চেঁচামেচি করতে শুরু করেন ওই ব্যবসায়ী। পরিস্থিতি বেগতিক বুঝে ঘটনাস্থল ছেড়ে পালায় দুষ্কৃতীরা।
[আরও পড়ুন: নিজের মেয়েকেই ধর্ষণ বাবার! থানায় নালিশ করলেন মা]
গভীর রাতে চিৎকার চেঁচামেচি শুনে বাড়ি থেকে বেরিয়ে পড়েন স্থানীয়রা। মহিলাকে উদ্ধার করা হয়। ইসলামপুর মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় তাঁকে। তবে চোট গুরুতর হওয়ায় উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে স্থানান্তরিত করার পরামর্শ দেন চিকিৎসকরা। হাসপাতাল স্থানান্তরের সময় পথেই মৃত্যু হয় তুলিকার। চিকিৎসকরা জানান, মাথায় আঘাত লাগার ফলেই মৃত্যু হয়েছে তাঁর।
কী কারণে দুষ্কৃতীরা ওই মহিলাকে টার্গেট করল, তা এখনও জানা যায়নি। মহিলার স্বামীর দাবি, দুষ্কৃতীদের তাঁকেই খুন করতে চেয়েছিল। তবে কোনও কারণে লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়ে স্ত্রীর উপর হামলা চালিয়েছে তারা। তবে স্বামীর দাবিতে খুব একটা সন্তুষ্ট নন তদন্তকারীরা। ফাঁকা রাস্তায় মহিলার উপর হামলা চালিয়েছে দুষ্কৃতীরা। সেই সময় তাঁর স্বামীও ছিলেন। তাদের টার্গেট যদি ওই ব্যক্তি হয়, সেক্ষেত্রে কেন দুষ্কৃতীরা তাঁর উপর হামলা চালাল না? মহিলার ‘খুনে’র ঘটনার তদন্তে নেমে আপাতত নিহতের স্বামীকে জেরা করছে।
এদিকে, ইসলামপুরের বিধায়ক আবদুল করিম চৌধুরীর ছোট ছেলের উপরেও হামলা চালায় একদল দুষ্কৃতী। তাঁর কানের পাশে আঘাত লাগে। গাড়ির কাচও ভেঙে দেওয়া হয়। বিধায়কপুত্র ইমদাদ চৌধুরীর দাবি, নিমন্ত্রণ রক্ষা করতে ভুজগাঁও যাওয়ার পথে এই কাণ্ডটি ঘটে। কী কারণে হামলা চলল, সে বিষয়ে ইমদাদ জানান, এই হামলার নেপথ্যে রাজনীতির কোনও যোগ নেই। ছিনতাইয়ের উদ্দেশে হামলা চলেছে। ইসলামপুর থানার পুলিশ বিষয়টি খতিয়ে দেখছে।